বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতি বাড়ির একতলায়।
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: রান্না চলাকালীন গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে প্রবল বিস্ফোরণ। কিন্তু বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যান বাড়ির বাসিন্দারা। ঘটনার পরেই উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধার কাজ। অন্যদিকে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বাড়ির একতলার একাধিক ঘর একেবারে ছারখার হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। দ্রুত আগুন নেভানো হয়। ছুটে যান মহেশতলা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুভাশিস দাস। জানা যায়, তিনি নিজেও উদ্ধারকাজে হাত লাগান।
রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে মহেশতলা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চকমির, সর্দারপাড়ায়। তখন ঘড়িতে সময় দুপুর ২টো। অন্যান্য দিনের মতোই চলছিল রান্না। হঠাৎ করেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাড়ির বাসিন্দা সুদীপ মণ্ডল জানান, ”দুপুরে রান্না করতে গিয়ে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়, এরপরেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়।” সৌভাগ্যবশত যদিও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন সুদীপ মণ্ডল। ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রবীণ এবং একজন বিশেষভাবে সক্ষম মানুষও ছিলেন। তবে কারও কোনও আঘাত লাগেনি। সকলেই নিরাপদে রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ছিল। আর সেই কারণেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়ে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিপদ আরও ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অভিশপ্ত ওই বাড়িটিতে ঘটনার সময় রাখা ছিল আরও দুটি গ্যাস সিলিন্ডার। তবে ঘটনার পরেই সেগুলি বাইরে বের করে আনা হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর শুভাশিস দাস জানিয়েছেন, ”সিলিন্ডারটি ফেটে গিয়ে বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হলেও বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। প্রতিবেশী ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের তৎপরতায় ওই বাড়ির ভিতর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়।”
অন্যদিকে দমকলের প্রাথমিকভাবে অনুমান, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করেই এই ঘটনা ঘটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.