Advertisement
Advertisement
ধস

ধসের পর মেরামতির কাজ শুরু জাতীয় সড়কে, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ডায়মন্ড হারবার

শুক্রবার বিকেলের পর থেকে চলবে হালকা ও ছোট গাড়ি।

Diamond Harbour road repaired, light vehicles allowed for now
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 2, 2019 1:29 pm
  • Updated:August 2, 2019 2:03 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু হয়েছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ভেঙে পড়া অংশে। বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে জাতীয় সড়কের একটি অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় মেরামতির কাজ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। তবে শুক্রবার বিকেলের পর থেকে ছোট ও হালকা গাড়ি চলাচল করতে পারবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: ক্লাসে নিয়মভঙ্গ, সবক শেখাতে শিক্ষিকার মারে মৃত্যু তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের ]

বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে নদীর পাশে আচমকাই ধস নামে। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামার ফলে বিপর্যস্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। কারণ এই সড়ক দিয়েই কাকদ্বীপের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ চলে। কলকাতার ধর্মতলা থেকে নামখানার উদ্দেশে যে বাসগুলি ছাড়ে সেগুলি এই রুটেই গন্তব্যে পৌঁছয়। ধসের ফলে সকাল থেকেই বন্ধ ছিল যান চলাচল। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

তবে আজ সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেচ, পূর্ত, সড়ক ও জাতীয় সড়ক দপ্তরের আধিকারিকরা। বেলা বাড়তেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন, জেলাপুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান ও পূর্ত দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অর্ণব রায়-সহ অন্য আধিকারিকরা। এলাকার ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। জেটিঘাট থেকে সাগরিকা পর্যন্ত এই ভাঙনের ফলে নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছে বহু পর্যটক। ফলে সমস্যার দ্রুত সুরাহা জরুরি। তাই এলাকা খতিয়ে দেখার পর দ্রুত সমাধানের আশায় জেলা প্রশাসনিক ভবন শুভান্নতে বৈঠকে বসেন সরকারি আধিকারিকরা।

বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, শুক্রবার বিকেলের পর থেকে ছোট ও হালকা গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। দিন ১৫ পর থেকে চলাচল করতে পারবে ভারী গাড়ি। এছাড়া ভাঙন আটকাতে নদীর দুই পাড়ে শিট পাইলিং করা হবে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসন, পূর্ত দপ্তর, সেচ দপ্তর ও  জাতীয় সড়কের আধিকারিকরা একসঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে। তার মধ্যে খবরের আদানপ্রদান চলবে। ১৫ দিন অন্তর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন জেলাশাসক। প্রশাসন সূত্রে আরও খবর, বৃহস্পতিবার ভরা কোটালের কারণে নদীবাঁধ ভেঙে পড়ে। হুগলি নদীর সেই বাঁধও মেরামত করা হবে। এই নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে নকশা চেয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে নদীর তীরে সৌন্দর্যায়নের কাজ বন্ধ হবে না।

[ আরও পড়ুুন: দাবি মতো বাইক দিতে পারেননি বাবা, অভিমানে আত্মঘাতী যুবক ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement