Advertisement
Advertisement

ত্রাণে গরমিলের অভিযোগ, শোকজের মুখে আসানসোলের ডেপুটি মেয়র-সহ ৪ তৃণমূল নেতা

শোকজের জবাবও দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র তবসুম আরা।

District TMC sends showcause notice to deputy mayor of Asansol along with 3 others
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 28, 2020 9:52 am
  • Updated:June 28, 2020 10:16 am   

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ত্রাণ নিয়ে গাফিলতি ও গরমিলের অভিযোগ পাওয়ামাত্রই শোকজ (Showcause)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো শোকজ করা হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুরের চার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও নেত্রীকে। যার মধ্যে রয়েছেন আসানসোলের ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor) তবসুম আরা। শনিবার এই খবর জানিয়ে ফের কড়া বার্তা দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

Advertisement

এদিন দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা কোঅর্ডিনেটর ভি শিবদাসন ওরফে দাসুকে পাশে বসিয়ে সভাপতি বলেন, ”দল বিরোধী কোনও কাজ বা দুর্নীতি যে-ই করুক না কেন, তা বরদাস্ত করা হবে না। করোনা সংক্রমণ থেকে বাংলার মানুষকে বাঁচানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাস্তায় নেমে কাজ করেছেন। লকডাউনে বিনামূল্যে রেশন বিলির ব্যবস্থা করেছেন। সেখানে দলের নেতা, কিছু কাউন্সিলর তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি। দলের যে স্তরের নেতা বা মেয়র অথবা চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর – যিনিই হোক না কেন, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে তাঁকে রেয়াত করা হবেনা। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে দল।”

[আরও পড়ুন: পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যাওয়ার ‘শাস্তি’, ৫ যুবককে উলঙ্গ করে মার BSF জওয়ানদের]

তৃণমূলের রাজ্য কমিটির তরফে দলের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও জেলার চেয়রাম্যান ভি শিবদাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এক বৈঠক করেন। তিনি জেলা সভাপতিকে চার নেতা ও নেত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে শোকজ করার নির্দেশ দেন। শুক্রবার তাঁদের শোকজ করে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই জবাব তলব করা হয়। সূত্রের খবর, ওইদিন রাতেই জবাব দিয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তবসুম আরা। বাকি তিনজন আসানসোল পুরনিগমের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের (জামুড়িয়া) কাউন্সিলর বেবি খাতুন, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে (আসানসোল) কাউন্সিলারের স্বামী তথা ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি শংকর চক্রবর্তী ও দুর্গাপুরের দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত সেই শোকজের জবাব দেননি বলে জেলা সভাপতি জানিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: শেষবার ছেলেকে দেখার অপেক্ষায় রাত জাগছে সবংয়ের শহিদের পরিবার]

দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের জন্য বেশ কয়েকজনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু ওই নেতা তাঁদের নামে টাকা জমা না দিয়ে, দলের সংগঠনের নামে টাকা দিয়েছেন। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ ও রেশন ঠিকমতো মানুষের কাছে পৌঁছে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা শোকজের জবাব দিলেই তা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপর শীর্ষ নেতৃত্ব বাকি সিদ্ধান্ত নেবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ