Advertisement
Advertisement
Durga Puja 2025

মায়ের পুজো! হাজার প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই দুর্গামূর্তি গড়তে ব্যস্ত আলিপুরদুয়ারের মৃৎশিল্পীরা

আলিপুরদুয়ারের মৃৎশিল্পীদের কাজের জন্য নেই কোনও স্থায়ী কারখানা।

Durga Puja 2025: Alipurduar potters make durga idol but their demands are not met

নিজস্ব ছবি

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 6, 2025 6:21 pm
  • Updated:September 6, 2025 6:21 pm   

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: সামনেই দুর্গাপুজো। অত্যন্ত ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। চলছে মায়ের রূপদানের কাজ। তাদের হাতে তৈরি মৃন্ময়ী মূর্তি পুজো পায় সর্বত্র। শহর পেরিয়ে গ্রাম, সর্বত্র এই মূর্তি ঘিরেই চলে পুজো, উৎসব, আনন্দ, নতুন জামাকাপড় কেনা, খাওয়াদাওয়া – আরও কত কিছু। কিন্তু এই মৃৎশিল্পীদের জীবনেই বঞ্চনার অধ্যায়ের যেন কোনও বদল নেই! আলিপুরদুয়ারে তাঁদের কাজের জন্য নেই কোনও স্থায়ী কারখানা। পাশাপাশ নেই ঋণ পাওয়ার কোনও সুবিধাও। তাই মাতৃমূর্তি গড়তে নিজেদের ব্যস্ত রাখলেও সমস্যা নিয়েই দিন কাটছে তাঁদের।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার জেলায় মৃৎশিল্পীদের জন্য নেই স্থায়ী কোনও কাজের জায়গা। নিজেদের ব্যক্তিগত  কারখানার অপরিসর স্থানেই মূর্তি তৈরি করেন এখানকার শিল্পীরা। নোনাই এলাকার মৃৎশিল্পী গোপাল পাল জানিয়েছেন, “একসময় জেলাশাসক স্থায়ী কুমোরটুলি তৈরির কথা বলেছিলেন। কিন্তু তারপরে আর কথা এগোয়নি। কোনও ভাতাও নেই। কোনও ঋণ নেই। ঠাকুর তৈরির সরঞ্জাম কেনার জন্য ঋণ দেওয়ার কথা বলা হলেও কাগজপত্রের জটিলতায় আর ঋণ মেলে না।” নোনাই এলাকার আরেক মৃৎশিল্পী ছোটন পালের কথায়, “আমরা কোনও সুযোগ-সুবিধাই পাই না। শুধু কার্ড দিয়েছে কিন্তু কিছুই মেলে না। কাজের চাপ রয়েছে। তার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে।”

মায়ের মূর্তি তৈরি করেই দুই সন্তান-সহ চার জনের সংসারে ভাত জোগান মৃৎশিল্পী হারাধন পাল। নোনাইয়ের গোপাল পালের কারখানার কারিগর হারাধনের কাছে মৃৎশিল্পীদের জন্য দেওয়া কার্ড রয়েছে। কিন্তু সেই কার্ড নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন হারাধন পাল। তিনি বলেন, “শুধু কার্ডই সার! ওই কার্ডে কোনও সুবিধাই পাই না।”

জেলার হাটখোলা, নোনাই, ফালাকাটা ও জটেশ্বরেই মূলত মৃতশিল্পীদের বসবাস। সেখানেই রয়েছে তাঁদের কারখানা। বেশিরভাগ জায়গায় মৃৎশিল্পীরা নিজেদের বাড়িতেই মূর্তি তৈরির জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে জেলা সদরে একটি স্থায়ী সরকারি কুমোরটুলির দাবি জানিয়ে আসছেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু সেই দাবি এখনও পূর্ণ হয়নি।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর বলেন, “আমাদের সঙ্গে ঠিকভাবে যোগাযোগ হয়নি মৃৎশিল্পীদের। তাঁদের জন্য কাজ করার ভাবনা রয়েছে আমাদের। আমরা অবশ্যই মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। কোথায় তৈরি হলে ওঁদের সুবিধা হবে, তা দেখে জায়গা ঠিক করব। আমরা চেষ্টা করব, আগামিদিনে তাঁদের জন্য কুমোরটুলি তৈরি করে দেওয়ার।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ