Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুর্গা

২১৫ বছরের রীতি মেনে দোলেই দু্র্গা আরাধনা হয় এই শহরে

এই পুজোয় মেতে ওঠেন দূরদুরান্তের মানুষ।

Durga puja arranged on holi in shrirampore in last 215 year

ফাইল ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 10, 2020 9:11 pm
  • Updated:March 10, 2020 9:11 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: প্রতিবারের মতো এবারও দোলের দিন মা দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠলেন শ্রীরামপুরের মানুষ। বসন্তের আকাশ রাঙিয়ে মানুষ যখন রং দিয়ে একে অপরকে আপন করে নেন তখন শ্রীরামপুরের টাউন ক্লাব ব্যস্ত দুর্গা পুজোয়। প্রায় ২১৫ বছর আগে শ্রীরামপুরের দে পরিবার এই পুজো শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে সাধারণের হয়ে উঠেছে। আজও নিয়ম মেনে দোলে শ্রীরামপুরে পূজিতা হন দেবী। 

Advertisement

শ্রীরামপুরের এই পুজোর প্রতিমাতে রয়েছে বিশেষত্ত্ব। এখানে দশভূজার সঙ্গে তার ছেলেমেয়ে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী থাকেন না। দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া। দোলের দিন দেবী বোধনের পর ষষ্ঠী ও সপ্তমীর পুজো হয়। এরপর এলাকার মানুষ মায়ের পায়ে আবির দিয়ে মেতে ওঠেন রং খেলায়। দোলের পরের দিন শ্রীরামপুরের বাসিন্দাদের কাছে অষ্টমী। এদিন এলাকার কোনও বাড়িতে উনুন জ্বলে না। প্রত্যেকেই এদিন পুজো প্রাঙ্গণে মায়ের ভোগ খেয়ে থাকেন।

durga-2

[আরও পড়ুন: করোনা নয়, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত মুর্শিদাবাদের যুবক, রিপোর্ট বেলেঘাটা আইডি’র]

পূর্বে এই পুজোয় নবমীতে ছাগ বলি দেওয়ার প্রথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বলি বন্ধ। নবমীতে এই পুজোর ভোগে মাছ খাওয়ানোর নিয়ম প্রচলিত। এদিন এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও শ্রীরামপুর অঞ্চলের অনাথ আশ্রমের খুদেরা সেখানে যান। এরপরের দিন শ্রীরামপুর বাসির মনখারাপের দিন। কারণ এদিন দশমী। নিয়ম মেনে মহিলারা দেবীবরণ সেরে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। এরপর রাতে শোভাযাত্রা নিয়ে শ্রীরামপুরের দে বাবুর ঘাটে গঙ্গায় মায়ের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় এই পুজো।

[আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহে কলকাতার হাসপাতালে ভরতি বেহালার প্রৌঢ়া, নাইসেডে পাঠানো হল ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement