সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সরকারি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেল রোগী। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার নিকাশি নালা থেকে। বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালের। সুপারকে নিয়ে ক্ষোভের জেরে তাঁকে বদলির পর এবার পলাতক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য। হাসপাতালের উদাসীনতাতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেই অভিযোগ
দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার গণতন্ত্র কলোনির বাসিন্দা বছর বত্রিশের সৌমেন দাস। গত ১৪ জুলাই বুকে ব্যথা নিয়ে ভরতি হন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি হাসপাতাল থেকে স্যালাইন হাতে নিয়েই বেরিয়ে যান। প্রায় ঘন্টাতিনেক পর সৌমেনের দেহ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লির একটি হাইড্রেন থেকে উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই চিনতে পেরে সৌমেনের বাড়িতে খবর দেন। তাঁরা জানতেনই না সৌমেন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সৌমেনের দেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ এসে ফের সেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় মহকুমা হাসপাতালে।
মৃত সৌমেনের মা সুচিত্রাদেবী বলেন, “ছেলে সুস্থই হয়ে উঠছিল। বুধবারই হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসি আমরা। কীভাবে হাসপাতালের নিরাপত্তাবেষ্ঠনী এড়িয়ে সে স্যালাইন হাতে বেরিয়ে গেল, তা বুঝতে পারছি না। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল হলে এমন অঘটন ঘটত না।” দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার সরকারি হাসপাতাল এমন ঘটনার সাক্ষী ছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ মাজিও তা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান,“রোগী পালানো এই হাসপাতালে নতুন ঘটনা নয়। যথেষ্ট নজরদারি করা হয়। তা সত্ত্বেও কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটে, তা সত্যিই বলা অসম্ভব। সৌমেন দাস অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে শারীরিক অসুস্থতা ও বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি পালিয়ে যান। পরে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসে পুলিশ। নিরাপত্তাকর্মীকে এড়িয়ে কীভাবে পালালেন ওই যুবক, তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.