সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মক পোলিং-এর সময় ইভিএমে বিজেপির প্রতীকের পাশে দলের নাম ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল ও সিপিএম।নিজেদের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছিল স্থানীয় নেতৃত্ব। কিন্তু শনিবার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পদ্মফুল প্রতীকের নীচে দলের নাম লেখা নেই। অতএব তা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কোনও কারণ নেই।
এ প্রসঙ্গে কমিশন আরও জানিয়েছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন-সহ এর আগে অন্যান্য ভোটেও বিজেপির প্রতীকের নিচে ওই চিহ্নটি ছিল। জানা গিয়েছে, ওটাই বিজেপির প্রতীক। ওই প্রতীকেই সিলমোহর দিয়েছিল কমিশনই। তাই এই নিয়ে বিতর্কের কোনও জায়গাই নেই। পাশাপাশি, সিইও দপ্তরকে চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ‘পদ্মফুলের নীচে বিজেপি লেখা নেই৷ প্রতীকের নিচে বিজেপি লেখার প্রমাণও নেই৷ ২০১৪-র ভোটেও যে প্রতীক ব্যবহার হয়েছিল, এবারও সেটাই ব্যবহার করা হচ্ছে। আর বিজেপির এই প্রতীক নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত৷’ অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে কমিশনে গিয়ে কার্যত ধাক্কা খেতে হল তৃণমূলকে।
[আরও পড়ুন: ‘শীঘ্রই আসছি’, পোস্টারে বাংলায় হামলার হুঁশিয়ারি ইসলামিক স্টেটের]
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে বারাকপুর প্রশাসনিক ভবন সেন্টারে মক পোলিং চলছিল। অভিযোগ, সেখানে ইভিএম-এ সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক থাকলেও, পদ্মফুল প্রতীকের নিচে ইংরেজি হরফে একটি শব্দ লেখা ছিল। তবে তা খুব একটা স্পষ্ট ছিল না। তৃণমূল ও সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয়, প্রতীকের নিচে লেখা ছিল ‘বিজেপি’। কিন্তু, সিপিএম, বিএসপি এমনকী তৃণমূল প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও তা ছিল না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নৈহাটি বিধানসভার মক পোলিং সেন্টার থেকে প্রতিবাদে সরব হন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে রিটার্নিং অফিসারের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। মক পোলিং সেন্টারেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু তৃণমূল ও সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা। এরপর দু’দলের কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ করে দেওয়া মক পোলিং। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন তৃণমূল ও বাম শিবির। এদিন সেই অভিযোগই খারিজ করে দিল র্নিবাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.