Advertisement
Advertisement
ED

বালিপাচার কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি ইডির, কলকাতা-আসানসোল-ঝাড়গ্রামের নানা ঠিকানায় হানা

সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

ED conducts state-wide searches in sand smuggling case
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:October 16, 2025 10:37 am
  • Updated:October 16, 2025 2:33 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বালিপাচার মামলায় অ্যাকশনে ইডি। কলকাতা, আসানসোল, ঝাড়গ্রামের একাধিক জায়গায় হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীদের। কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি অফিসে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও ঝাড়গ্রামের লালগড় ও গোপীবল্লভপুরে বালির খাদানে তল্লাশি চলছে। আসানসোলের এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত মুর্গাশোলে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বালি ব্যবসায়ী মণীশ বাগাড়িয়ার বাড়িতে সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মণীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিভিন্ন জেলায় বালির ঘাট পরিচালনা ও কোটি কোটি টাকার লেনদেন করতেন। সরকারি বালিঘাটে আর্থিক তছরুপ ও অবৈধভাবে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে গোপীবল্লভপুরে জিডি মাইনিংয়ের অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। লালগড়ে বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বালি খাদানেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আগেও সৌরভের মেদিনীপুরের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, এর আগেও গোপীবল্লভপুর -১ ব্লকের নয়াবসানে এক বালি ব্যবসায়ী শেখ জাহিরুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

অবৈধভাবে বালি তুলে সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে একাধিক বালির ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। কীভাবে চলত বালি পাচার? অতিরিক্ত লরি পাঠিয়ে সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই বালি তোলার কাজ চলে বলে অভিযোগ। লরির নম্বরেও দুর্নীতি করা হত বলে দাবি তদন্তকারীদের।

তদন্তকারীদের আরও দাবি, বালি তোলার ক্ষেত্রে যে লরিকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেই গাড়ির নম্বর দিতে হত। অভিযোগ, একই নম্বর ব্যবহার করে একাধিক লরিতে চলত এই বালি পাচার। কার্যত অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রশাসনের বোঝার বাইরে ছিল। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হত। কিন্তু সেই নম্বরকে ব্যবহার করে আদতে একাধিক লরিকে ব্যবহার করেই চলত এই বালির দুর্নীতি।

যদিও স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বালি তোলার ক্ষেত্রে অনুমতি পত্রে কিউআর কোড দেওয়া হত। অভিযোগ, সেই কিউআর কোডকেও জাল করা হত। এই সিডিকেন্টে কারা কারা যুক্ত, তার তদন্তেই বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্র মারফত খবর, কলকাতা-সহ রাজ্যের সাতটি জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ