দেব গোস্বামী, বীরভুম: দুর্গাপুরের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। জোর চর্চা রাজ্য-রাজনীতিতে। এর মধ্যেই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। গ্রেপ্তার ষাটোর্ধ্ব নবীন হেমরম। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানা এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে পরিবার। ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বোলপুর চিত্রামোড় সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। যদিও পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতোই ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়। সেই সময় অভিযুক্ত নবীন হেমরম নির্জন মাঠে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই নির্যাতিতা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিলে আশেপাশে লোকজন ছুটে আসেন। সেই সুযোগে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। স্থানীয় লোকজনই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং পরিবারকে খবর দেয়। এরপরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। সোমবার রাতেই স্থানীয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।
পরিবারের অভিযোগ,” ৯ বছরের নাবালিকা শিশুকে ভুল বুঝিয়ে নির্জন মাঠে নিয়ে যায়। তারপর ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীদের ছুটে গিয়েছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচেছে কন্যা সন্তান। শুধু গ্রেফতার নয়, অভিযুক্তের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।” ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষজনও। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি,”এই ধরনের অপরাধের ঘটনায় কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। না হলে এ ধরনের অপরাধ বাড়তেই থাকবে।”
অন্যদিকে বোলপুরের অতিরিক্ত জেলার পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় জানান,” ঘটনায় লিখিত অভিযোগের পরেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তদন্ত শুরু করেছে বোলপুর থানার পুলিশ।” শুধু তাই নয়, ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে দীর্ঘ জেরায় অভিযুক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
অন্যদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলী সদস্য বকুল ঘড়ুই বলেন, ”নারী এবং নাবালিকাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের গাফিলতি আর শাসক দলের রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া এমন ঘটনা বারবার ঘটতে পারে না।” অন্যদিকে ঘটনায় প্রশাসনকে একহাত নিয়েছে বিজেপিও। বোলপুর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন,” প্রশাসন এখন নীরব দর্শক। একের পর এক ঘটনায় সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঘটনায় দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতেই আন্দোলনে নামবে বিজেপি।” বলে রাখা প্রয়োজন, গত ১০ অক্টোবর দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জে বেসরকারি এক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য। এর মধ্যেই ফের একই ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.