মেয়েদের নিয়ে ধরনা প্রৌঢ়ার। নিজস্ব চিত্র
বাবুল হক, মালদহ: প্রেম করে বিয়ের পর ৩২ বছরের সংসার। কিন্তু পুত্র সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে তিন কন্যাকে নিয়ে ধরনায় বসলেন প্রৌঢ়া। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৩২ বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের আলিপুর গ্রামের শেখ রাহাতুল হকের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুর থানার ঘোলা গ্রামের সাহিদা বেগমের। বিয়ের কয়েক বছর পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাহিদা বেগম। অভিযোগ, পুত্র সন্তান চাইতেন স্বামী শেখ রাহাতুল। সেজন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনও শুরু হয় বলে অভিযোগ। এর পরবর্তী কয়েক বছরে ওই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান জন্মালেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীকালে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাহিদা। তিন কন্যা সন্তান হতেই ওই মহিলার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আরও বাড়ে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তিন কন্যা-সহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে শেখ রাহাতুল তাড়িয়ে দেন বলেও অভিযোগ। তিন সন্তানকে নিয়ে বাপেরবাড়িতেই থাকছিলেন মা। নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে তিনি মেয়েদের বড় করেন, তাদের বিয়েও দেন। যদিও মাঝের এই সময়ের মধ্যে শেখ রাহাতুল হক আরও দুটি বিয়ে করেন। তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী মারাও যান বলে খবর। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শেখ রাহাতুল হক এই মুহূর্তে সংসার করছেন বলে খবর।
স্ত্রীর মর্যাদা ও অধিকার ফিরে পেতে বৃহস্পতিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়া। অভিযোগ, তাঁকে ফের মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। এরপরই আজ, রবিবার ওই বাড়ির সামনে তিন কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে ধরনায় বসেন ওই প্রৌঢ়া। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.