সুনীপা চক্রবর্তী ও অর্ণব আইচ: সাতসকালে ফের অ্যাকশনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বালি পাচার মামলায় এবার সরাসরি তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে, সোমবার ভোর থেকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। একই সঙ্গে তল্লাশি চলছে বেহালা, রিজেন্ট পার্ক, বিধাননগর-সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গাতেও। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে মোট ২২ টি জায়গায় ইডির এই অভিযান চলছে বলে খবর। তদন্তকারীদের নজরে একাধিক বালিখাদানের মালিক এবং তাঁদের অফিসও রয়েছে।
বালি পাচারের মোটা অঙ্কের টাকা বিমায় গিয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। আর সেই সূত্র ধরেই ইডির একটি বিশাল টিম রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান। তল্লাশি চলছে গোপীবল্লভপুর ব্লকের একাধিক জায়গায়। শুধু তাই নয়, গোপীবল্লভপুর -১ ব্লকের নয়াবসানে শেখ জাহিরুলের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। সুবর্ণরেখা নদীর খুব কাছেই সুবিশাল এই বাড়ি। শেখ জাহিরুল বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। এমনকী বেশ কয়েকটি বালি খাদান আছে বলেও অভিযোগ। জানা যায়, শেখ জাহিরুল এক সময় ভিলেজ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সেই কাজ ছেড়ে বালি ব্যবসায় নামেন।
এদিন সকালে একেবারে সার্চ ওয়ারেন্ট হাতে শেখ জাহিরুলের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। শুধু বাড়িতেই নয়, তাঁর অফিসের পাশাপাশি গাড়িতেও পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত নথি। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শুধু শেখ জাহিরুলই নয়, বেলিয়াবেড়া, জামবনি ব্লকের একাধিক বালি খাদান মালিকদের বাড়ি এবং অফিসে একযোগে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই সূত্র ধরেই বেহালা, রিজেন্ট পার্ক, বিধাননগর, কল্যাণী-সহ একাধিক জায়গাতেও ইডির অভিযান চলছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বালি পাচারের মোটা অঙ্কের টাকা বিভিন্ন বিমা সংস্থা এবং ব্যবাসায়ীদের কাছে পৌঁছেছে। সে বিষয়ে আরও তথ্য জানতেই এই সমস্ত এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী বাড়ি, অফিসে তল্লাশি করছেন আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.