সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটারদের নাম বাদে চক্রান্ত করছে বিজেপি! দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ইলামবাজারের সভা থেকে এনিয়ে অনুব্রত মণ্ডল-কাজল শেখদের ময়দানে নামার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আসল কারও নাম যেন বাদ না পড়ে এলাকায় গিয়ে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার বীরভূমের ইলামবাজারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে জয়দেব সেতু-সহর উদ্বোধন-সহ একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়। সরকারি অনুষ্ঠানের মাঝেই ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে বাঙালি ‘নির্যাতন’, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “অসম, ওড়িশা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ-সহ সমস্ত ডবল ইঞ্জিন সরকার অর্থাৎ বিজেপি শাসিত রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। আসলে বাংলায় প্রতিভা, পরিশ্রমের সঙ্গে পেরে উঠছে না বলে এত অত্যাচার। হিংসার তো কোনও ওষুধ নেই। যাঁরা ওই সব রাজ্যে কাজ করেন, তাঁরা দীর্ঘ ২০, ২৫ বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন। সব বৈধ নথি রয়েছে। তা সত্ত্বেও ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে, থানায় ঘোরানো হচ্ছে। আমি বলছি, তাঁরা সবাই ফিরে আসুক। চাইলে রাজ্য সরকার গাড়িভাড়াও দেবে। তারপরই বোঝা যাবে, কে সত্যি বলছে, কে মিথ্যে।”
এরপরই মমতার বার্তা, “সবাই নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। আসল লোকের নাম যেন বাদ না যায়। এভাবে এনআরসি চালুর ষড়যন্ত্র চলছে। অসমেও হয়েছে, বাংলাতেও ওরা চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রাণ থাকতে আমরা এনআরসি হতে দেব না, রুখে দেব। কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেলে প্রতিবাদ করবেন, বিএলও-কে বলবেন। বলবেন, এটা আপনার সাংবিধানিক অধিকার, আপনার রক্ষাকবচ। যেসব সংখ্যালঘুরা বাইরে কাজ করেন, তাঁরাও নাম তুলুন।” এরপরই অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ, শতাব্দী রায়-সহ জেলার সকলকে নেতাকে নিজের নিজের এলাকায় নজরদারির নির্দেশ দেন মমতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.