রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) নামে ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরির অভিযোগ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চিঠি পেতেই চক্ষু চড়কগাছ কাঁথির সাংসদের। তাঁর সাফ দাবি, তিনি কাঁথির বাসিন্দা, পশ্চিম মেদিনীপুরে ব্য়াংকে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রশ্নই নেই। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন তিনি। এনিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ইমেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন সাংসদ। পাশাপাশি, গ্রাহকের উপস্থিতি ছাড়াই ব্যাংকে কীভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হল, তা জানতে চেয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাছনা ব্রাঞ্চে শিশির অধিকারীর নামে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট নম্বর ১২০৯০১০০০০ ৫৩০৪৫। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সাংসদের ছবি, স্বাক্ষর, নথি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছয় সাংসদের কার্যালয়ে। এরপরই নড়েচড়ে বসেন তিনি।
এই বিষয়ে সাংসদ শিশির অধিকারীকে ফোন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, এর পিছনে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা, রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে। রাজ্যজুড়ে একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। সেখানেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি সাংসদের। তদন্তের জন্য নির্মলা সীতারমণকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। গ্রাহকের উপস্থিতি ছাড়া, তাঁর স্বাক্ষর-নথি ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাংক। তাই ব্যাংকের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি করেছেন সাংসদ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলছেন, “ব্য়াংক কেন্দ্রের। অর্থমন্ত্রক কেন্দ্রের। হতেই পারে শিশিরবাবুকে ব্ল্যাকমেল করতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি। শিশিরবাবু তো এখনও বিজেপিতে যোগ দেননি। তাঁকে হয়তো দলে টানতেই এই কাজ করছে বিজেপি। কে জানে!” পালটা দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “শিশিরবাবু প্রবীণ নেতা। তাঁর ছেলে বিজেপিতে এসে তৃণমূলকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন। তার বদলা নিতেই শিশিরবাবুকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। মুকুল রায়, অর্জুন সিং যখন বিজেপিতে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল তৃণমূল। “
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.