Advertisement
Advertisement

কোচবিহারে নদীবক্ষে অবাধে চলছে চাষাবাদ! উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা

নদী নাব্যতা হারাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে জল।

Farming in river bed during Winter
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:January 8, 2019 5:29 pm
  • Updated:January 8, 2019 5:29 pm  

বিক্রম রায়, কোচবিহার: নদীর বক্ষে অবাধে চাষ করার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। কোচবিহার জেলাজুড়ে সম্প্রতি এই চাষের প্রবণতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে একদিকে যেমন নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে। অন্যদিকে এই চাষে যে রাসায়নিক সার ব্যবহার হয় সেগুলি নদীর জলে মিশে দূষিত হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে স্থানীয় মাছ কমে যাওয়ায় এটাও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। সমস্যা সমাধানে একশোর দিনের কাজ করে হাতিয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোচবিহার জেলা পরিষদ। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মীর হুমায়ুন কবির বলেন, “নদীর জল শীতের সময় অনেকটাই কমে যায়। নদীর নাব্যতা কমার পর পলিমাটি উঠে আসে। তাই নদীবক্ষে চাষ করেন কৃষকরা এটা নদীর ক্ষেত্রে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনই এর ফলে বন্যার সময় ভাঙন অত্যাধিক মাত্রায় হয়।” তাই সমস্যা সমাধানের জন্য এবার একশো দিনের কাজে নদীর বক্ষে পলিমাটি তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। শীঘ্রই এই বিষয়ক স্থায়ী সমিতির বৈঠক ডাকা হবে।

Advertisement

[মিড-ডে মিলের বদলে পড়ুয়াদের বিস্কুট! অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে আটক শিক্ষকরা]

পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন‍্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ জানান, “নদীর বক্ষের চাষ করা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। চাষের ক্ষেত্রে যে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় তা নদীর জলে মিশে গিয়ে জলকে দূষিত করে দেয়। এতে নদীর জীব ও ছোট মাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্ষার সময় অত্যাধিক ভাঙনের সম্ভাবনা থাকে। তাই দ্রুত এই চাষ বন্ধ করা উচিত।” কোচবিহার জেলা বুক চিরে বয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি নদী, শাখানদী এবং উপনদী। তবে শীতের মরশুমে প্রায় সমস্ত ছোট নদীতে জল অত্যন্ত নিচে নেমে যায়। তার সুযোগ নিয়ে তোর্সা, মানসাই, সালটিয়া, সুটুঙ্গা, রায়ডাক, গদাধর নদীতে সম্প্রতি চাষ করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনে সচেতনতা বৃদ্ধি করে চাষিদের এই চাষ বন্ধ করার প্রতিও সচেতন করার আবেদন পরিবেশ কর্মীরা জানিয়েছেন।

ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস

[ অসাবধানতায় রাইফেলের ট্রিগারে চাপ, গুলিবিদ্ধ ইএফআর জওয়ান]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement