অর্ণব দাস, বারাসত: বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের হতেই নড়েচড়ে বসল পুলিশ। হোটেল-রেস্তোরাঁ ভাঙচুর, লুট, হুমকির অভিযোগে দত্তপুকুর ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান সহ আরও দুই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। সোমবার অভিযোগকারী ব্যবসায়ীকে ডেকেও কথা বললেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস। এদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁ চালানোর প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারার জন্য ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সম্প্রতি দত্তপুকুর থানার চালতাবেরিয়ায় একটি হোটেল-রেস্তোরাঁ করেন সৌমেন দাস। তাঁর অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার সেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় দত্তপুকুর ২ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মান্তু সাহার দলবল তোলার দাবিতে ভাঙচুর, লুটপাট চালিয়ে হুমকি দেয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা হোটেলে দেহব্যবসার অভিযোগ তুলেছিলেন উপ-প্রধান মান্তু সাহা। তবে, ভাঙচুরের সেই সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। ঘটনার সন্ধ্যায় সৌমেন দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ জমা না নেওয়ায় শনিবার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান ব্যবসায়ী।
সূত্রের খবর, ঠিক এরই রবিবার তৃণমূল নেতা মান্তু সাহা ও ভাঙচুরের সময় উপস্থিত তৃণমূল কর্মী ভোলা ও আক্রমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এনিয়ে ব্যবসায়ী সৌমেন বলেন, “পুলিশ আশ্বস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। পুলিশ এখন যথেষ্ট সক্রিয়, তাই সম্পূর্ণ আস্থা আছে। দেহ ব্যবসার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। হোটেলের রেজিস্টার খাতা হামলাকারীরা নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটে রয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখলেই সত্যি সামনে আসবে।” এই প্রসঙ্গে মান্তু সাহা বলেন, “অভিযোগ তো সবাই করতে পারে। যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়, পুলিশ তদন্ত করে দেখবে ঘটনায় আমার কী ভূমিকা। ওই হোটেলে দেহ ব্যবসা চলত। এলাকার মানুষ বিষয়টি জানার পর এর প্রতিবাদ করেছেন।ঘটনার সময় আমি ছিলাম না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.