Advertisement
Advertisement
Murshidabad

রিলস বানানোর ‘ফাঁদ’, ফরাক্কা থেকে অপহৃত ৫ নাবালিকা! পুলিশের জালে চার

বীরভূমের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকাদের।

Five teenage girls who got lured to make reels in Murshidabad rescued from Birbhum
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 26, 2025 3:40 pm
  • Updated:July 26, 2025 3:42 pm   

শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: সোশাল মিডিয়ায় রিলস বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অন্যত্র। দিনভর মেয়েদের খোঁজ না পেয়ে অভিভাবকরা সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হন। আর তাতেই কাটল বিপদ। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে উদ্ধার করল ওই পাঁচজনকে। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নাবালিকাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার সকালে ফরাক্কার নয়নসুখ পঞ্চায়েতের রামরামপুরের পাঁচ নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু দিন কাটলেও বাড়ি ফেরেনি তারা। স্বাভাবিকভাবেই মেয়েদের নিয়ে চিন্তায় পড়েন মা-বাবারা। চেনাশোনা জায়গায় খোঁজখবর নিয়েও মেয়েদের হদিশ পাননি। এরপর আর দেরি করেননি অভিভাবকরা। রাতেই পাঁচ নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরাক্কা থানায় বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগ পেয়েই জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার ফরাক্কা থানা তৎপর হয় নাবালিকাদের খুঁজে পেতে।

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সমস্ত নাকা চেকিং পয়েন্টের তল্লাশি শুরু করে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ২৫ জুলাই ভোররাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার পুলিশ সেই পাঁচ নাবালিকার হদিশ পায় বীরভূম সংলগ্ন এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর একটি জায়গায়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় শুক্রবার। জানা গিয়েছে, কয়েকজন ওই ছাত্রীদের রিলস তৈরির লোভ দেখিয়ে ফরাক্কার জিগরি মোড় এলাকা থেকে গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছিল। কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়, কিছু বলা হয়নি। পুলিশ তাদের উদ্ধার করার পর আপাতত হোমে রাখা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম হাবিবুর রহমান, রাজিবুল সেখ, সোলেমান শেখ, জাফর শরিফ। সকলের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি সামশেরগঞ্জ এলাকায়। শনিবার তাদের আদালতে পেশ করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, এছাড়া কী কারণে নাবালিকা মেয়েদের ফরাক্কা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তার তদন্ত করে দেখছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ