Advertisement
Advertisement
Anubrata Mondal-Kajal Sheikh

বিজয়া সম্মিলনীতে প্রকট কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব! মেটানোর চেষ্টা ‘বিরক্ত’ শতাব্দীর

অনুব্রত ও কাজল শেখের অনুগামীরা পরস্পর জড়িয়ে পড়েন স্লোগান-যুদ্ধে।

Followers of Anubrata Mondal and Kajal Sheikh involved in sloganeering infront of TMC MP Satabdi Roy
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 18, 2025 9:57 pm
  • Updated:October 18, 2025 9:59 pm   

দেব গোস্বামী, বোলপুর: বিজয়া সম্মিলনীর মতো অনুষ্ঠানেও এড়াল না অন্তর্দ্বন্দ্ব। বীরভূমে কেষ্ট-কাজলের চাপা কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। তাও আবার তারকা সাংসদের সামনেই। শনিবার মুরারইয়ে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। পাশাপাশি বসেছিলেন তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডল, সদস্য কাজল শেখ। শতাব্দীর বক্তৃতা চলাকালীনই অনুব্রত ও কাজল শেখের অনুগামীরা নিজেদের পছন্দের নেতাদের হয়ে স্লোগান তুলতে থাকেন। পরস্পর বাকযুদ্ধেও জড়ান। ‘বিরক্ত’ শতাব্দী তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেও কার্যত ব্যর্থ হন। এমন হট্টগোলের জেরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ভেস্তে যায়।

Advertisement

অনুব্রত এবং কাজলের মধ্যে চোরা দ্বন্দ্বের কথা মোটের উপর সকলেরই জানা। তা সত্ত্বেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন সভা, বৈঠকে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। শনিবার মুরারইয়ে দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে তাঁদের পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা যায়। ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে জেলায় জেলায় এই বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান আসলে ছাব্বিশের ভোটপ্রস্তুতির সলতে পাকানো। শনিবার সেইমতো মুরারই-১ ব্লকে দলীয় বিজয়া সম্মিলনীতে বীরভূমে দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি একসঙ্গে উপস্থিত হন। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়। আর তখনই বেঁধে গেল গোলমাল।

জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত অল্প কথায় নিজের ভাষণ শেষ করেন। এরপর শতাব্দী মাইক্রোফোন ধরে বক্তব্য রাখা শুরু করেন। সেসময় কাজল শেখ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে অনুব্রতর পাশের আসনে বসেন। তখনই অনুব্রত ও কাজলের অনুগামীদের মধ্যে স্লোগান-যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বিরক্ত হন শতাব্দী। তিনি বারবার দু’পক্ষের এই স্লোগান থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেষ্ট ও কাজলের অনুগামীরা কিছু শুনতে নারাজ। ‘অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ’, ‘কাজল শেখ জিন্দাবাদ’ বলতেই থাকেন তাঁরা। একটা সময় পর শতাব্দী গলা তুলে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, “আমরা সবাই তৃণমূলের। আমাদের লড়াই কংগ্রেস, বিজেপি আর সিপিএমের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত।” ধীরে ধীরে কর্মীরা শান্ত হন। কিন্তু ততক্ষণে কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্বের কথা রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ