সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: ফের পাথরপ্রতিমার লোকালয়ে কুমির। শুক্রবার ৯ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কুমির ধরা পড়ল পুকুরে। এই নিয়ে দুইমাসে তিনবার লোকলয়ের পুকুরে জালবন্দি কুমির। কেন বারবার লোকালয়ে কুমির ঢুকে পড়ছে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বনদপ্তরের আধিকারিকদের কপালে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাথরপ্রতিমার গ্রামগুলিতেও।
শুক্রবার পাথরপ্রতিমা গ্রাম পঞ্চায়েতের দে মার্কেট সংলগ্ন কিশোরী নগর এলাকার একটি পুকুর থেকে কুমিরটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেটি যে পুকুরে ছিল তা টের পাওয়া গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদই। গতকাল সন্ধ্যায় পুকুরটির মালিক খোকন বেরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন মাছ লাফালাফি করছে। তাতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। কয়েক মুহূর্ত পরের দৃশ্য দেখে তাঁদের চক্ষুচড়ক গাছ! দেখেন পুকুরে ভাসছে পেল্লাই সাইজের এক কুমির। খবর দেওয়া হয় ভাগবতপুর রেঞ্জের বনদপ্তরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বনকর্মীরা এসে পুকুরে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন। কিন্তু পুকুরে জল বেশি থাকায় সারারাত চেষ্টা করেও কুমিরটিকে জালবন্দি করা সম্ভব হয়নি।
শেষে শুক্রবার সকালে চারটি পাম্প মেশিন বসিয়ে পুকুরের জল ছেঁচে জালবন্দি করা হয় কুমিরটিকে। তাকে উদ্ধার করে ভাগবতপুর কুমির প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এদিন দুপুরে কুমিরটিকে লোথিয়ান দ্বীপের সপ্তমুখী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বারবার কেন নদী ছেড়ে লোকালয়ের পুকুরে ঢুকে পড়ছে কুমির তা নিয়ে চিন্তিত বনদপ্তর।
এরআগে গত এক মাসের ব্যবধানে পাথরপ্রতিমার রাক্ষসখালি গ্রামে একই পুকুর থেকে দু’বার জালবন্দি করা হয়েছিল একটি কুমিরকে। বনকর্তারা জানিয়েছিলেন, একমাসের মধ্যে দু’বার ধরা পড়লেও আসলে কুমির ছিল একটিই। প্রথমবার যে কুমিরটি পুকুরপাড়ে ডিম দেয়। তাকে জালবন্দি করে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি ডিমের টানেই ফের ফেরত এসে ওই পুকুরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু আজ, শুক্রবার যে কুমিরটি ধরা পড়েছে সেটি আলাদা কুমির। কেন বারবার কুমির লোকালয়ের পুকুরে ঢুকে পড়ছে তা নিয়ে চিন্তায় বনদপ্তরের কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.