প্রতীকী ছবি
সুবীর দাস, কল্যাণী: বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূর উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর এক সহযোগী। আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার চাকদহ মদনপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই বাড়ি এক ফুচকা বিক্রেতার। ঘটনাটি ১২ জুলাই রাতের। সেসময় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই ফুচকা বিক্রেতার স্ত্রী। অভিযোগ, শাসক দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ দাস ও তার সহযোগী সরজিত দাস ওই বাড়িতে হানা দেন। দু’জনেই মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ। দু’জনে ওই গৃহবধূর উপর শারীরিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নির্যাতনের পর মুখ খুললে ওই বধূকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগ, এই ঘটনা নতুন নয়, আগেও তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। সন্তানের সামনেও অতীতে অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরদিন ১৩ জুলাই ওই পরিবার চাকদহ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয়ে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা জানাজানি হতে স্থানীয়রাও মুখ খুলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই দুই অভিযুক্ত মদ্যপান করে হুমকি দিতেন। ধৃতদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।” শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চরিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.