প্রতীকী ছবি।
মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: মাসি মারা যাওয়ার পর মেসোর সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছিল নাবালিকার। সেখান থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। দু’জনে একে অপরকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন! বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি দুই পরিবারের সদস্যরা। তাই নিয়ে ওই নাবালিকার পরিবারের মধ্যে তীব্র অশান্তিও চলছিল। এরপরই ঘর থেকে উদ্ধার করা হল দশম শ্রেণির গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ! আজ, শনিবার সকালে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নাবালিকা কি ‘আত্মহত্যা’ করেছে? নাকি অন্য কোনও বিষয়? পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, হাওড়ার আমতার বেতাই এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বেতাই এলাকাতেই দুই পরিবারের বাড়ি। স্থানীয় এক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। আগামী বছর তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা। ওই ছাত্রীর মাসি গত দু’মাস আগে মারা গিয়েছেন। দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিল। মাসির মারা যাওয়ার পর যোগাযোগ আরও বাড়ছিল বলে খবর। সেই সূত্রে মেসোর সঙ্গে ওই নাবালিকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। এমনকী নিয়মিত কথাবার্তার জন্য মেসো তাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেন বলে খবর। বাড়ির লোকেদের থেকে ফোনটি লুকিয়ে রেখেছিল সে। এদিকে সপ্তাহখানেক আগে পরিবারের লোকেদের ওই নাবালিকা জানায়, সে মেসোকে বিয়ে করবে। আর তারপরেই শুরু ঝামেলার সূত্রপাত। ঘর থেকে ওই মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। দু’জনের যোগাযোগ বন্ধ রাখতে পরিবারের লোকেরা মোবাইল ভেঙেও দেয় বলে খবর। ওই ঘটনার পর দু’জনের যোগাযোগও ছিল না বলে খবর।
এই অবস্থায় গতকাল ওই নাবালিকার বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে বৃদ্ধ দাদু ছিলেন নাবালিকার সঙ্গে। রাতের নির্দিষ্ট সময়ে নাবালিকা নিজেদের ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিল বলে খবর। আজ, শনিবার সকালে ঘরের ভিতর ওই ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন সেই মৃতদেহ প্রথম দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই নাবালিকা কি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার এই মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? নাকি তাকে কেউ প্ররোচনা দিয়েছে? সেই বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। ‘খুন’ কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.