জোতি চক্রবর্তী,বসিরহাট: আমফানের পর কেটে গেছে দু সপ্তাহ। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকার বেশ কিছু স্থানে এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা। ফলে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। বিদ্যুতের দাবিতে তাঁরা ভাঙচুর চালায় হাড়োয়া পাওয়ার হাউজের ঘর, ট্রান্সফরমার ও বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan) পর ১৪ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও হাড়োয়া এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা সেই বিশ বাঁও জলে। ফলে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় হাড়োয়া থানা এলাকার বাসিন্দাদের। এদিন হাড়োয়া পাওয়ার হাউজে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পাওয়ার হাউজের ঘর, ট্রান্সফরমার ও বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়ি সবকিছুতে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। পুলিশ তাঁদের শান্ত হতে বললে ক্ষোভপ্রকাশ করে বাসিন্দারা জানান, “কয়েকটি গ্রাম এখন অন্ধকারে। কবে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে জানাচ্ছেন না বিদ্যুৎদপ্তরের কর্মীরা। এভাবে কতদিন থাকা যায়?”
জানা যায়, আমফানের পর হাড়োয়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। হাড়োয়া বাজার-সহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও গোপালপুর, সালিপুর-সহ একাধিক গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ দপ্তরে বারবার জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। অগত্যা এদিন বিকেলে পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ার অভিযোগ এনে বাসিন্দারা বিদ্যুৎ দপ্তরে সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাতেও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা আমল না দিলে বাসিন্দারা ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। ইট,লাঠি, দিয়ে অফিসের টেবিল, চেয়ার, জানলার কাচ, দপ্তরের গাড়ি ও ট্রান্সফর্মার ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে হাড়োয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.