Advertisement
Advertisement
Goal pokhor

হস্টেলের ঘরে ছাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে শ্লীলতাহানি! কুকীর্তি ফাঁস হতেই গোয়ালপোখরে পলাতক প্রধান শিক্ষক

আড়াই মাস ধরে হস্টেলে যাচ্ছিল না দুই ছাত্রী।

Head Master flew away after harassing students in Goal pokhor

প্রতীকী ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:March 12, 2025 5:53 pm
  • Updated:March 12, 2025 5:53 pm   

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: আতঙ্কে স্কুল হস্টেল ছেড়ে নির্যাতিতা দুই কিশোরী ছাত্রীর আড়াই মাস ধরে বাড়ির অন্দরে কার্যত বন্দি জীবন কাটছে। ওই দুই সহপাঠী পড়ুয়াকে হস্টেলে গিয়ে শ্লীলতাহানির পাশাপাশি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে খোদ ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সত্যসুন্দর রায়ের বিরুদ্ধে। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা ছাত্রীদের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই বুধবার থেকে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

Advertisement

গোয়ালপোখর থানার আইসি টিএন ভুটিয়া বলেন, “অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পলাতক।” উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ১-এর সোলপাড়া হাইস্কুলের কস্তুরবা গান্ধী বালিকা হস্টেলের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে শোরগোল ছড়িয়েছে। স্কুল ও হস্টেলের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিইয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

পরিবার তরফে অভিযোগ, নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী প্রায় আড়াই মাস ধরে বাড়িতে। হস্টেলে ফিরে যাওয়ার কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে দুই সহপাঠী ছাত্রী। কিন্তু কোনও কিছু বলতে চায় না। তারপর এক পরিবারের দাবি, মেয়ের ব্যাগ থেকে একটি উদ্ধার হয়। সেই চিঠি থেকে জানা যায়, “প্রধানশিক্ষক আমাদের দুই বান্ধবীর গায়ে আপত্তিজনকভাবে স্পর্শ করেন। বাধা দিতে গেলে ভয় দেখান। আবার কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার কথা বলেন। তাই বাড়ি ফিরেছি। আর হস্টেল স্কুল যেতে চাই না।” এরপর পরিবারের লোকজন চাপ দিতেই দুই ছাত্রী সব কথা জানায়।

অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সত্যসুন্দর রায় স্কুলের হস্টেলে গিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে লাগাতার শ্লীলতাহানি করেন। এমনকী অনেকবার ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের খাগড়া এলাকার বাসিন্দা ওই প্রধান শিক্ষক স্কুল সংলগ্ন সাহাপুর গ্রামের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। যদিও এদিন ওই ভাড়া বাড়িতে গিয়েও দেখা মেলেনি। প্রতিবেশীদের সূত্রে দাবি, ওই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের ওই হস্টেলের বরাদ্দ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে কোভিডের সময় থেকে দীর্ঘ সময় হস্টেল বন্ধ থাকলেও আর্থিক বরাদ্দ অব্যাহত ছিল। কিন্তু সেই অর্থের কোনও হিসাব দিতে পারেননি প্রধানশিক্ষক। যদিও এই ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ সোলপাড়া হাইস্কুলের শিক্ষকরা। এমনকী কস্তরবা গান্ধী বালিকা হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে ফোন করেও কোনও জবাব মেলেনি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ