অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: মায়ের দেওয়া আতরের শিশি নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল খুদে। এটাই ছিল ‘অপরাধ’। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেজন্য বেধড়ক মারধর করলেন বলে অভিযোগ। পাঁচ বছরের ওই খুদের গালে, চোখে কালসিটে পড়ে গিয়েছে! মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়ায়। জখম ওই ছাত্রীর পরিবারের থেকে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান হয়। মারধরের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। পরে পুলিশ ওই প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরের ওই শিশু হাওড়ার বাঁকড়া এলাকার বাসিন্দা। এলাকারই একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ছাত্রী। শিশুটির মা তাকে একটি আতরের শিশি উপহার দিয়েছিলেন। আজ, শুক্রবার সকালে স্কুলে সেই আতরের শিশি নিয়ে চলে গিয়েছিল ওই শিশু। বাড়ি থেকে পড়াশোনার সামগ্রী বাদে ওই স্কুলে অন্য কোনও জিনিস আনা যাবে না বলে নির্দেশ রয়েছে। এদিন ক্লাসের মধ্যে ব্যাগ থেকে ওই আতরের শিশি বার করেছিল পড়ুয়া।
সেই শিশি কোথা থেকে এল জানতে চেয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। মা ওই আতর দিয়েছে বলে শিশুটি জানায়। এরপরই প্রধান শিক্ষক রেগে গিয়ে তাকে প্রবল মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে ওই শিশুর গায়ে, চোখের নিচে কালসিটে পড়ে যায়! অভিযোগ, স্কুলের মধ্যেই বসিয়ে রাখা হয় তাকে। পরে স্কুলে গিয়ে বাবা-মা ঘটনার কথা জানতে পারেন। মেয়েকে উদ্ধার করে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলে। পরে হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিবারের তরফে স্কুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ওই ছাত্রীর বাবা আয়ূব আলি সর্দার বলেন, “শিশুরা একটু এরকম করবে। তাই বলে শিশুর উপর রাগ করে এমন মারধর করা হবে?” প্রধান শিক্ষক মারধরের ঘটনা স্বীকার করেছেন। যদিও প্রধান শিক্ষকের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.