Advertisement
Advertisement
Maldah

স্কুল পরিদর্শকের সই ও সিল জাল করে ব্যাঙ্ক লোন! মালদহে গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষিকা

ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মানিকচকে।

Headmistress arrested in Maldah for forging school inspector's signature and seal to get bank loan

গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষিকা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 22, 2025 7:23 pm
  • Updated:September 22, 2025 7:23 pm   

বাবুল হক, মালদহ: স্কুল পরিদর্শকের সই ও সিল জাল করে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা লোন আদায়ের চেষ্টা! কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। এই ঘটনায় সোমবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের মানিকচকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদে আছেন সুলতানা খাতুন। গতকাল, রবিবার রাতে এনায়েতপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। নথি জালিয়াতি ও প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে ওই প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিকের স্বাক্ষর ও সিল জাল করার অভিযোগ দায়ের হয় মানিকচক থানায়। অভিযোগের তদন্তে নেমে সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বিভাগের সাহায্য নেয় পুলিশ।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পাঠানো ওই রিপোর্টে সই ও সিল জাল রয়েছে বলে জানানো হয়। এরপরেই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। মানিকচকের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বরের। এনায়েতপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে পাকা বাড়ি তৈরির উদ্দেশে মোটা টাকা লোন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষিকা মানিকচক চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শকের সিল ও সই জাল করে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অর্থাৎ ছাড়পত্র তৈরি করে ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিলেন। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্চয়িতা মণ্ডল জানতে পারেন। তারপরেই ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই শংসাপত্র যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরে পাঠায়। তারপর মানিকচক ১ চক্রের পরিদর্শক সঞ্চয়িতা মণ্ডল বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। নিজের জাল সিল ও সই দেখে তিনি হতবাক হয়েছিলেন। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, সিল ও স্বাক্ষর জাল রয়েছে কি না, তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতার সিআইডি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাহায্য নেওয়া হয়। সিল ও স্বাক্ষর সিআইডির দপ্তরে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট এসেছে। তারপরেই প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে মানিকচক থানার পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ