শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: আস্ত একটি রাজবাড়ি ও সংলগ্ন জমি দখল করে নিচ্ছে জমি মাফিয়ারা! অভিযোগ পেয়েই তৎপর জেলা প্রশাসন। তদন্তে নেমেছেন খোদ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক। রাজবাড়িটি সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও-সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা।
[ বাঁদরের নামে থানায় দায়ের এফআইআর! চক্ষু ছানাবড়া পুলিশের]
৬০০ বছরের বেশি প্রাচীন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের নাড়াজোল রাজবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নেতাজি থেকে বিধানচন্দ্র রায়, নাড়াজোল রাজবাড়িতে কে না এসেছেন! পরাধীন ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান শতাব্দী প্রাচীন এই রাজবাড়িটি। রাজ পরিবারের অনেক সদস্য সরাসরি স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোল রাজবাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। অপরূপ স্থাপত্যের এই রাজবাড়িটি দেখতে এখনও ভিড় জমান বহু পর্যটক। কিন্তু, এই রাজবাড়িটিকে আর চাক্ষুস করার সুযোগ মিলবে তো? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের অজান্তে রাজবাড়ির নিজস্ব জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এমনকী, নিজেদের স্বার্থে রাজবাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলছে জমি মাফিয়ারা। রাজবাড়িটি বাঁচানোর জন্য রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের দ্বারস্থ হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, গত ৫ অক্টোবর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে নাড়াজোল রাজবাড়ি বেদখলের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। সেই নির্দেশ মেনে তদন্তে নেমেছেন জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী। নাড়াজোলা রাজবাড়ির বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অবিলম্বে রাজবাড়ি ও রাজপরিবারের সম্পত্তি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার দাবি তুলেছেন নাড়াজোল আর্কিওলজিক্যাল প্রিজার্ভেশন কমিটির সম্পাদক সন্দীপ খান। দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুইঁয়া জানিয়েছেন, যাঁরা নাড়াজোল রাজবাড়ির জমি দখল করে রেখেছেন, তাঁদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এই রাজবাড়িকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।
ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী
[ ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার, ডুয়ার্সে বিপন্ন নদীর বাস্তুতন্ত্র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.