Advertisement
Advertisement
Holi 2025

গাঁদাফুল, বিট-গাজর পিষে তৈরি হচ্ছে আবির, দোলের আগে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চোপড়ার মহিলারা

সুগন্ধি গোলাপি আবিরের দাম বাজারের সাধারণ আবিরের তুলনায় সামান্য বেশি।

Holi 2025: Chopra women busy for making abir
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 12, 2025 11:14 pm
  • Updated:March 12, 2025 11:14 pm   

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সুগন্ধি গাঁদাফুলের পাঁপড়ি নিংড়ে সঙ্গে বিট-গাজর শিলনোড়ায় পিষে ময়দার অ্যারারুট মিশ্রণে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে জেলায় তৈরি হচ্ছে ভেষজ রঙিন আবির। মেশিনের বদলে হাতেই রাসায়নিক স্রেফ হাত দিয়েই পরিবেশবান্ধব আবির প্রস্তুত করতে এখন প্রায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত কসরতে ব্যস্ত জেলার চোপড়ার সোনাপুরের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তবে সুগন্ধি গোলাপি আবিরের দাম বাজারের সাধারণ আবিরের তুলনায় সামান্য বেশি। আর তাই জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আধিকারিক থেকে কর্মীদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোষ্ঠীর মহিলারা।

Advertisement

বস্তুত,প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি রাসায়নিকহীন, দূষণহীন এই ভেষজ আবিরের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে মেশিনের বদলে সম্পূর্ণ হাতে তৈরির ফলে ভেষজ আবির তৈরি যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ও কায়িক পরিশ্রম সাধ্য। শিশু থেকে প্রবীণ ব্যক্তিরাও অনায়াসে এই ভেষজ আবির ব্যবহারে কোন রকম শারীরিক সমস্যা হবে না বলে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস জানান। তবে বাজারজাত বিভিন্ন ব্রান্ডের রাসায়নিক আবিরের সঙ্গে পাল্লা দিতে স্বনির্ভর দলের প্রাকৃতিক উপায় তৈরি আবির বড় প্রতিবন্ধকতা দামে।কেননা যেখানে খোলা বাজারে ১০০ গ্রাম আবিরের দাম অন্তত ১৫ থেকে ২০ টাকা। সেখানে এই ভেষজ আবিরের দাম পড়ছে ৪০ টাকা। এই আবহে বাজারজাত না হলেও জেলা গ্রামোন্নয়ন দপ্তর ভেষজ আবির বিক্রির জন্য মহিলাদের আর্থিকভাবে উৎসাহিত করছেন।দলের প্রস্তুত করা আবির যাতে অনলাইনে বিক্রি করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চোপড়ার,সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধন্দুগছ এলাকায় শক্তি সংঘ ও সোনার তরী দলের মহিলারা এবার চোপড়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে অনেকদিন আগেই প্রশিক্ষণ নিয়ে যৌথভাবে আবির তৈরিতে নেমে পড়েছেন।

জেলা গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের আনন্দধারা প্রকল্পের আধিকারিক হেমন্ত দেয়া জানান,”গাঁদা ফুল, কাঁচা হলুদ, বিট, অপরাজিতা, পলাশ ও সিঁদুরে ফল সহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপায়ে এই ভেষজ আবির তৈরি করেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করেননি।”  স্বনির্ভর দলের মহিলা সুমতি বিশ্বাস বলেন, ” সমস্ত পদার্থ গুড়ো করে এবং রস বের করে হালকা রোদে শুকিয়ে নেওয়ার পর প্যাকেটজাত করতে হচ্ছে।। তাই এই আবিরের দামটা বাজারের অন্য আবিরের তুলনায় বেশি হওয়ায় সেভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করতে সামান্য সমস্যা হচ্ছে।” তবে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এবং ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। প্রসঙ্গত জেলার প্রায় ৪৯ হাজার স্বনির্ভর দলের মধ্যে চোপড়ার দু’টি গোষ্ঠীর স্বনির্ভর মহিলারা দোল উৎসবে সকল বয়সের মানুষের মনে রঙ ছড়াতে ভেষজ আবির তৈরি করছেন। ভেষজ আবিরের তৈরির জন্য গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের দাবি, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোষ্ঠী দলনেত্রী অঞ্জলি বোস দাস বলেন, “হলুদ ও গোলাপি রঙের  আবির  বানানো হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিক্রি হচ্ছে।ভালোই সাড়া মিলছে এবার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ