প্রতীকী ছবি।
গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: বিয়ে হয়েছিল মাত্র তিনমাস আগে। বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার জন্য নতুন বউয়ের উপর চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারও করা হত বলে অভিযোগ। আজ, রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই নাবালিকা বধূর মৃতদেহ। মৃতার নাম তানজিলা খাতুন। মৃতার শ্বশুরবাড়ির তরফে দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। যদিও মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ‘খুন’ করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বারোমেসিয়া গ্রামে।
মৃতার বাপেরবাড়ির তরফে অভিযোগ, বছর ২৫ বয়সের আজহারউদ্দিন মোল্লা প্রেমের জালে জড়িয়েছিলেন তাঁদের মেয়েকে। দুই পরিবারের সম্মতিতে শেষপর্যন্ত তাঁদের বিয়েও হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেন। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিতে আসতে বলা হত। মেয়ের উপর অত্যাচার হতে দেখে বেশ কিছু টাকাও বাপেরবাড়ির লোকজন তাদের দিয়েছিলেন বলে দাবি। তারপরও অত্যাচার কমেনি! শুধু তাই নয়, ২ লক্ষ টাকা বাপেরবাড়ি থেকে বিয়ের পণ হিসেবে নিয়ে আসতে দাবি করা হয়। সেই টাকা ওই পরিবার দিতে সক্ষম ছিল না।
টাকা পাওয়া যাচ্ছে না দেখে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মেয়েকে গতকাল, শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। সেজন্যই মেয়ে মারা গিয়েছে। এদিন সকালে বাপেরবাড়ির লোকজনকে ফোনে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। খবর পেয়েই ওই বাড়িতে ছুটে যান মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজন। হাড়োয়া থানাতেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ওই বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। আজহারউদ্দিন মোল্লা-সহ পাঁচজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে খবর। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.