Advertisement
Advertisement
Suti

তিন সন্তানের সামনেই সুতিতে স্ত্রীকে গলা কেটে ‘খুন’, পলাতক স্বামী

দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল বলে খবর।

Husband absconds after killing wife in Suti

বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন স্থানীয়রা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 16, 2025 12:39 pm
  • Updated:June 16, 2025 12:39 pm   

শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: তিন সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে ‘খুন’ করে পালাল স্বামী! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার আহিরণ মাঠপাড়ায়। মৃতার নাম রেশমি বিবি (২২)। ঘটনা জানাজানি হতেই ওই বাড়ির সামনে ভিড় করেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত মসিবুল শেখের খোঁজে তল্লাশি চলছে বিভিন্ন জায়গায়।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল মসিবুল শেখ ও রেশমি বিবির। তাঁদের তিন সন্তানও আছে। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন মসিবুল। ফলে বেশিরভাগ সময়ই তিনি কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। গতকাল রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকার ওই বাড়িতে ফিরেছিলেন ওই ব্যক্তি। রাতেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ। সেই ঝগড়া ক্রমে আরও বাড়ে। অভিযোগ, রেশমি বিবিকে মারধর করে মসিবুল। তিন সন্তান ভয়ে সিঁটিয়েছিল। এদিন সকালের দিকে ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ দেখা যায় বলে অভিযোগ। সেসময় হাঁসুয়া স্ত্রীর গলায় মসিবুল চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকেন রেশমি। মেঝে ভেসে যায় রক্তে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে খবর।

সন্তানরা ওই ঘটনা দেখে আর্তনাদ করে উঠেছিল। মুখ বন্ধ না করলে তাদেরও মেরে ফেলা হবে বলে বাবা হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এরপরই প্রতিবেশীদের ঘটনার কথা জানায় সন্তানরা। ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় রেশমিকে পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেয়। আহিরন ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সুতি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় নাকাচেকিং চলছে। ফোনের লোকেশন ট্রেস করে তাকে ধরার চেষ্টা হচ্ছে।

মৃত রেশমি বিবির দিদি, নুরবানু বিবি জানিয়েছেন, গত তিন মাস থেকে পারিবারিক বিবাদ চলছিল ফোনেই। সেই কারণেই বাড়িও আসেনি মসিবুল। ভিন রাজ্য থেকে টাকাপয়সা পাঠাত না মসিবুল। বিড়ি বেঁধে তিন সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছিলেন রেশমি। অভিযুক্তের কঠিন শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ