ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে মিলল স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। ওই ঘরেই মিলল স্বামীর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাধর কলোনি এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম সন্তোষ বর্মণ (৫৫)। স্ত্রীর নাম লীনা বর্মণ(৫০)। স্ত্রীকে ‘খুন’ করে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন স্বামী, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, সন্তোষ বর্মণ গাছ কাটার কাজে যুক্ত ছিলেন। গত ছয়মাস আগে তিনি গাছ থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন। তারপর থেকে তিনি আর কাজ করতে পারতেন না বলে খবর। ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় স্ত্রী লীনা বর্মণের সঙ্গে তাঁর প্রায়শই ঝামেলা, অশান্তি চলত বলে খবর। স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন বলেও অভিযোগ। অন্যান্য দিনের মতো গতকাল, মঙ্গলবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন। আজ, বুধবার সকালে ওই ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। বাবা-মা ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না দেখে ছেলেদের মনে সন্দেহ হয়। প্রথমে দরজা ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি চলে। প্রতিবেশীরাও জড়ো হয় সেখানে।
অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভাঙা হয়। ঘরের ভিতরের পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হন উপস্থিত সকলে। দেখা যায় খাটের উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন নীলা বর্মণ। গলায় নলি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা। ঘরের ভিতরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায় সন্তোষ বর্মণকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্ত্রীকে ‘খুন’ করে স্বামী ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.