সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সামনেই দীপাবলি। আলোর উৎসবে মেতে উঠবে বাংলা-সহ গোটা দেশ। আর তার আগেই ১২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠালো ভারত। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা ভারতে ছিলেন। সাগর থানার পক্ষ থেকে তাঁদের থাকা ও খাওয়া দাওয়ার সমস্ত রকম ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এমনকী চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়। দীর্ঘ আলোচনার এবং সমস্ত নথি হস্তান্তরের পর আজ শনিবার ভোরে আটকে থাকা ১২ বাংলাদেশিকে পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের এক পণ্যবাহী জাহাজ মুড়িগঙ্গা নদীতে দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজের নাবিক ও কর্মীদের উদ্ধার করে সাগর ব্লক প্রশাসন ও সাগর থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সাগর থানার পুলিশের তৎপরতায় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকদিনের চিকিৎসায় তিনিও সুস্থ হয়ে ওঠেন। আটকে পড়া ওই জাহাজের সকল কর্মী ও নাবিককে রাখা হয় সাগরের কৃষ্ণনগর ফ্লাড শেল্টারে।
জানা যায়, এর মধ্যেই আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠাতে তৎপর হয় জেলা প্রশাসন। ভারত এবং বাংলাদেশ এই দুই দেশের হাইকমিশনেও এই বিষয়ে আলোচনা চলে। জানা যায়, দুর্গাপুজোর আগে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজের নাবিক ও কর্মীদের যাবতীয় প্রমাণ ও কাগজপত্র দাখিলের পর শনিবার ভোরে তাঁদের বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়।
দেশে ফিরে যাওয়ার আগে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য এবং জিবিডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার নির্দেশে তাঁদের সঙ্গে দেখে করেন তাঁরা। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি আটকে থাকা নাবিকদের পুজোর উপহারও দেওয়া হয়।
দীপাবলির আগেই ওই নাবিক ও কর্মীদের দেশে ফেরাতে পারায় খুশি সাগর ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে ভারতের মাটিতে আটকে থাকা নাবিকরাও আলোর উৎসবের আগে নিজ দেশে ফিরতে পেরে খুশি। ভারত সরকার, রাজ্য সরকার ও সাগর প্রশাসনকে এজন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.