ফাইল চিত্র
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কৃষ্ণগঞ্জের বাঙ্কার রহস্যের পর থেকে বিএসএফ আরও অভিযান বাড়িয়েছে। এদিকে শুক্রবার বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়ার পর থেকেই উধাও জমির মালিক লাল্টু মহারাজ। সোমবারও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁকে জালে পেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। এমনই মনে করছেন বিএসএফ আধিকারিকরা।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের টুঙ্গি সীমান্তের একটি জঙ্গল এলাকা থেকে তিনটি বাঙ্কার পাওয়া যায়। বিএসএফ জওয়ানরা ওই এলাকায় তারপর থেকেই খানাতল্লাশি শুরু করেন। মোট ৬২ হাজার ২০০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। যার বাজারদর আনুমানিক প্রায় দেড় কোটি টাকা। তারপর থেকেই ওই জমির মালিকানা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। ওই দুই বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে লাল্টু মহারাজের নামে। তাঁর আসল নাম রাজ ঘোষ।
মাজদিয়া এলাকাতেই ওই ব্যক্তির বাড়ি। কিন্তু ওই ব্যক্তি এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন বলে খবর। পরিবারের লোকজন তাঁর সম্পর্কে তেমন কিছুই বলতে পারেননি। পরিবার কি কিছু গোপন করছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে। জানা গিয়েছে, ওই রাজ ঘোষ অনেক দিন ধরেই পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত বছর নিষিদ্ধ কফ সিরাপ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁকে। জেলও খাটতে হয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে তিনি ছাড়া পান বলে খবর।
ওই ব্যক্তি কতটা প্রভাবশালী? সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় টাকাও খরচ করেন বলে খবর। নতুন করে কি বাংলাদেশে কফ সিরাপ পাচারের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি? সেই বিষয়টি এখন জানার চেষ্টায় বিএসএফ আধিকারিকরা। ওই বিপুল পরিমাণ জমির মালিকানা কবে থেকে তাঁর কাছে এল? সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ ঘোষ ওরফে লাল্টু মহারাজের সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন তেমন মুখ খুলছেন না। কেউ তাঁকে দেখেছেন। আবার কেউ তাঁকে দেখেননি। স্থানীয়দের মধ্যেও কি কোনও ভয় কাজ করছে? প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.