সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রেমের সম্পর্ক বদলে গিয়েছিল শত্রুতায়! আর তার জেরেই কি একসঙ্গে তিন খুন? ঝাড়খন্ড ছুঁয়ে থাকা পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির সুইসাতে মা, মেয়ে ও মাসি খুনের ৪৮ ঘণ্টার এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণী কাজল মাছুয়ার বাপের বাড়িতে এক যুবকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। তা নিয়ে অশান্তিও হয়। পুলিশের অনুমান, ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কাজলের। কোনও কারণে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ায় খুনের ছক। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, কেন কাজলের বোন ও সন্তানকে খুন? ওই দুই নাবালিকা কি এমন কিছু জেনে গিয়েছিল, যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল? সেই কারণেই তাঁদেরও হত্যা? এপ্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

রেল পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় নিহত কাজলের পরিচিতজন খুনি হলেও একজনের পক্ষে পরপর তিন খুন এবং প্রমাণ লোপাটের ছক কার্যকর করা সম্ভব নয়। ফলে এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত। তদন্তকারীদের ধারণা, তিনজনকে শ্বাসরোধে খুনের পর খুনিরা রীতিমত গাড়ি করে এসে তাদের দেহ রেললাইনে রেখে যায়। পাশাপাশি পুলিশ নিশ্চিত যে পেশাদার খুনিরা এর সঙ্গে জড়িত নয়। তাঁদের যুক্তি, পেশাদার খুনিরা প্রমাণ লোপাটের পথে হাঁটে না। কিন্তু এক্ষেত্রে বিষয়টা আত্মহত্য়া প্রমাণ করতে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছিল রেললাইনে। ঠিক কী হয়েছিল? কখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই তিনজন? কীভাবে পৌঁছল রেললাইনে? এহেন যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.