সাজা ঘোষণার পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দোষীকে। নিজস্ব চিত্র
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তারই বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল অভিযুক্ত। এদিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। তাঁকে ২৫ বছরের সাজা শোনালেন বিচারক। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হল।
ঘটনাটি ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের শুরুর। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকায় ওই নাবালিকা ও অভিযুক্তের বাড়ি। ঘটনার সন্ধেয় নবম শ্রেণির ওই নাবালিকা ছাত্রী এলাকারই এক বান্ধবীর বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিল। রাতে ফেরার সময় বান্ধবীর বাবা তাঁকে বাড়ির রাস্তায় এগিয়ে দিতে গিয়েছিল। যদিও রাস্তায় অন্ধকারে ওই কিশোরীকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। একটি আমগাছের নীচে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ঘটনার কথা কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে বলে ওই কিশোরীকে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
ফলে ঘটনার কথা ভয়ে ওই ছাত্রী বাড়ির কাউকে কিছু বলেনি। ঘটনার কয়েক মাস পরে নাবালিকার মা মেয়ের শারীরিক কিছু পরিবর্তন দেখতে পান। পরীক্ষা করে দেখা যায়, নাবালিকা অন্তঃস্বত্ত্বা। এরপরই পরিবারের লোকজন মেয়েকে চেপে ধরতে সব কথা জানা যায়। এরপরই ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়। টানা দু’বছর ধরে বিচার চলার পর আদালত এদিন সাজা ঘোষণা করে।
আদালতের নির্দেশেই ওই ছাত্রীর গর্ভপাত হয়। পুলিশ চার্জশিট জমা দেয় আদালতে। ১২ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক এদিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। এছাড়াও দোষী ব্যক্তিকে একলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দু’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ। পাশাপাশি বিচারক নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারকে পাঁচলক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.