আদালত চত্বরে ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: প্রথমে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। আপত্তিকর অবস্থার ছবি তুলে রেখে ব্ল্যাকমেল ও পরে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত দুই যুবকের দোষী সাব্যস্ত করল জলপাইগুড়ি আদালত। এক যুবককে ২৫ বছর ও অন্যজনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। শুধু তাই নয়, ওই নাবালিকাকে ছয়লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট চা বাগান এলাকার। ২০২২ সালের জুন মাসে দিদিমার সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সেসময় ওই এলাকারই এক যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেই মুহূর্তের ছবি মোবাইল বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে ওই যুবক সেই ছবি তারই এক বন্ধুকে শেয়ার করে বলে অভিযোগ। এরপর ওই দুই যুবক মিলে ওই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল শুরু করে বলে অভিযোগ। ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হবে বলে ভয় দেখিয়ে ফের ডাকা হয় ওই নির্যাতিতাকে। ব্ল্যাকমেল করে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতি ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে যায়। পরিবারের সন্দেহ হতেই চেপে ধরা হয় তাকে। নির্যাতিতা সব কথা পরিবারকে জানায়। ওই কিশোরীর পরিবারের তরফে ২০২৩ সালের মে মাসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে কৃষ্ণ মাহালি ও অমিত মাহালি নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। পকসো ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতে শুনানি শুরু হয়। ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ গৃহীত হয় আদালতে। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাল আদালত। কৃষ্ণ মাহালিকে ২৫ বছর ও অমিত মাহালিকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন বিচারক। একই সঙ্গে একজনকে একলক্ষ আর অন্যজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.