উদ্ধার হওয়া গয়না। নিজস্ব চিত্র
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: সোনার দোকান লুট করে ঝাড়খণ্ড থেকে পালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। বাংলার ঝাড়গ্রামের জামবনি থানা এলাকার মধ্যে দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যাছিল তিন দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে তাড়া করে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করল বাংলার পুলিশ। উদ্ধার হল লুটের গয়না, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সমস্ত গয়না উদ্ধার হয়েছে। এজন্য তদন্তকারীদের পুরস্কৃত করা হবে।
ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া থানা এলাকার একটি সোনার দোকানে তিন দুষ্কৃতী লুটপাট চালায়। প্রায় ২ কোটি টাকার সোনার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা ঝাড়গ্রামের দিকের রাস্তা ধরেছিল। চাকুলিয়া থানা থেকে জামবনি থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। চাকুলিয়া ও জামবনি থানা আন্তঃরাজ্য সীমান্ত ভাগ করে থাকে। দুষ্কৃতীদের ঝাড়গ্রামের দিকে আসার খবর পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করে জামবনি থানার পুলিশ। অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ বসু মল্লিক ও আরটি অফিসার এএসআই অসীম মণ্ডল পুলিশ কর্মীদের নিয়ে নজরদারি শুরু করেন।
রাত প্রায় ন’টা নাগাদ মোটরবাইক করে তিনজনকে যেতে দেখা যায়। টহলদারি পুলিশ তাদের বাইক থামাতে বলে। কিন্তু তারা না থামিয়ে বাইকের গতি বাড়িতে সেখান থেকে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। সেটি দেখেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, এরাই দুষ্কৃতী। ওই বাইকের পিছনে ধাওয়া করেন তদন্তকারীরা। প্রায় ১ কিলোমিটার ধাওয়া করে দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া সম্ভব হয়। দুই দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে পড়ে লুটের ওই সোনার গয়না। তবে এক দুষ্কৃতী পলাতক। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি। আটক দুই দুষ্কৃতীর নাম নিরঞ্জন গৌর, বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জুগসালাই থানার বাগবেড়ার বাসিন্দা ও মহম্মদ রফিক, বিহারের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। দুই দুষ্কৃতী ও উদ্ধার হওয়া গয়না চাকুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.