Advertisement
Advertisement
Kali Puja 2025

লক্ষ্মীপুজোতেই কালী আরাধনার প্রস্তুতি, নৈহাটিতে হয়ে গেল বড়মার কাঠামো পুজো

ভক্তদের ভিড় সামলাতে এবার কালীপুজোর ৭ দিন আগে থেকেই পুজো গ্রহণ করা হবে।

Kali Puja 2025: Baroma puja committee in Naihati almost inaugurates festival of light by worshipping the structure
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 6, 2025 6:24 pm
  • Updated:October 6, 2025 8:43 pm   

অর্ণব দাস, বারাকপুর: শারদোৎসব সমাপ্ত হতে না হতেই আলোর উৎসবের তোড়জোড়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন নৈহাটিতে শুরু হয়ে গেল কালীপুজোর প্রস্তুতি। সোমবার সেখানকার বিখ্যাত বড়মার মন্দিরে দেবীর কাঠামো পুজো হল মহা ধুমধামে। সকাল থেকে মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন অগণিত ভক্ত। ছিল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। হাজির ছিলেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। ছিলেন নৈহাটির সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক সনৎ দে। প্রতি বছর এই দিন বড়মার কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়েই নৈহাটি জুড়ে কালীপুজোর দামামা বেজে ওঠে।

Advertisement
নৈহাটিতে বড়মার মন্দির। নিজস্ব ছবি।

দুর্গাপুজোর খ্যাতি হিসেবে যদি কলকাতার নাম সর্বাগ্রে থাকে, তাহলে কালীপুজোয় সেই শিরোপা পেয়ে থাকে উত্তর ২৪ পরগনার দুই এলাকা – নৈহাটি, বারাসত। প্রতিমার উচ্চতা, মণ্ডপসজ্জা থেকে থিম, আলো – সবেতেই একে অপরকে টেক্কা দেয়। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায় বহুদিন আগে থেকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনই নৈহাটির বড়মার মন্দিরে হয়ে গেল দেবীর কাঠামো পুজো। সোমবার সকালে বিশেষ এই দিনে মন্দির খোলা সময়ই অগণিত ভক্ত হাজির হন। কষ্টিপাথরের বড়মাকে দর্শন করার পাশাপাশি তাঁরা অংশগ্রহণ করেন কাঠামো পুজোয়। কালীপূজার চারদিন ২২ফুট উচ্চতার ঘন কালো কৃষ্ণবর্ণের বড়মাকে দেখতে যে রেকর্ড ভিড় হবে, সেই আভাস মিলল এদিনই।

২২ফুট উঁচু বড়মার মূর্তি। ফাইল ছবি।

ভক্তদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে এবছর কালীপুজোর ৭ দিন আগে থেকেই পুজো গ্রহণ করা হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বড়কালী পুজো সমিতি। সোমবার কাঠামো পুজোয় বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা নিজে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে কালীপুজোর আয়োজন নিয়ে বৈঠক করেন। বিগত বছরগুলির মত এবছরও নৈহাটির শিল্পী শুভেন্দু সরকার প্রতিমা তৈরি করছেন। কালীপুজোর দিন সুউচ্চ ‘বড়মা’কে সোনা ও রুপোর গয়না দিয়ে সাজানো হবে। পুলিশ কমিশনার ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক সনৎ দে, পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।

পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলেন, “গত বছরের পরিকল্পনা আরও উন্নতি করে সঞ্চালন পরিকল্পনা করা হচ্ছে যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটে। ভিআইপির ও সাধারণ মানুষ যাতে একসঙ্গে বড়মার দর্শন করতে পারে সেই ব্যবস্থা থাকছে। নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি ড্রোন থাকবে। রেল পুলিশ, পি ডব্লিউ ডি, বিদ্যুৎ দপ্তর সকলকে একসঙ্গে নিয়ে বৈঠক হবে। দণ্ডি কাটার ব্যবস্থা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে।”

বড়মার কাঠামো পুজো উপলক্ষে ছিল কড়া পুলিশ প্রহরা। হাজির ছিলেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। নিজস্ব ছবি।

সাংসদ পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, “গোটা দেশে বড়মার আবেগ ছড়িয়ে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত কালি পুজো বড়মাকে পুজো দিতে আসেন। সকলেই যাতে সুষ্ঠুভাবে পুজা দিয়ে দর্শন করতে পারে, এনিয়েই এদিন বৈঠক হল।” নৈহাটি বড়কালী পুজো সমিতির কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য জানান, বড়মার কাঠামো পুজো মানেই আমাদের কাছে পুজো শুরু। ২০তারিখ কালিপুজো। তার আগে ১৩তারিখ থেকে পুজো নেওয়ার জন্য কাউন্টার খুলে যাবে। ১৯ তারিখ ২৪ ঘন্টা কাউন্টার খোলা থাকবে। পুজোয় ভিড় সামাল দিতেই এই উদ্যোগ।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ