Advertisement
Advertisement
Kalyan Banerjee-Mahua Moitra

‘সংসদে ঘাড়ধাক্কার সময় আমিই পাশে ছিলাম’, অতীত স্মরণ করিয়ে ফের মহুয়াকে খোঁচা কল্যাণের

সোশাল মিডিয়া পোস্টে ঠিক কী লিখলেন কল্যাণ?

Kalyan Banerjee agaon lashes out at Mahua Moitra reminding her to stand by before two years in Parliament
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 5, 2025 3:40 pm
  • Updated:August 5, 2025 5:11 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফার পর ফের আক্রমণে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করে ফের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে দু’বছর আগের কথা স্মরণ করিয়ে কল্যাণের বক্তব্য, ২০২৩ সালে মহুয়াকে যখন সংসদ থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করা হয়, সেসময় তিনিই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তা কোনও বাধ্যবাধকতা থেকে নয়, কর্তব্যবোধ থেকে। আর আজ তার এমন প্রতিদান দিচ্ছেন মহুয়া! বলছেন, তিনি নারীবিদ্বেষী। শ্রীরামপুরের সাংসদের আরও বক্তব্য, মানুষই দেখুন কে কেমন, তাঁরাই বিচার করুক।

Advertisement

মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ”২০২৩ সালে যখন সংসদ থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমি শ্রীমতি মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এটা কোনও বাধ্যবাধকতা থেকে নয়, বরং মানবিকতা থেকেই তা করেছিলাম। আর আর তিনি আমাকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে তার প্রতিদান দিচ্ছেন! এমন একজন, যাঁর প্রাথমিক সৌজন্য শিক্ষাটুকুও নেই, তাঁকে সমর্থনের জন্য সবাই উঠেপড়ে লেগেছে, এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। মানুষই দেখুন যাঁকে জিতিয়েছেন, তাঁর কথাবার্তা কেমন। মানুষই বিচার করুক।”

উল্লেখ্য, তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ জনপ্রতিনিধি মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। একদা দিল্লিতে দলের কর্মসূচি থেকেই তার সূত্রপাত। সেসময় মহুয়ার উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করায় সাংসদের তীব্র রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল কল্যাণকে। সেবার তিনি কল্যাণের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতেও যাচ্ছিলেন। তাঁকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন দলের আরেক সেলেব সাংসদ। তাতে সাময়িক উত্তেজনা প্রশমন হলেও পরে মহুয়া দলকে চিঠি লিখে সবটা জানিয়েছিলেন। সেই চিঠি প্রকাশ্যেও চলে আসে।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কল্যাণ প্রসঙ্গে মহুয়ার মন্তব্য ছিল, ”শুয়োরদের সঙ্গে কুস্তিতে নামব না।” এই মন্তব্যের পরই একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি চূড়ান্ত রূপ নেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ ছেড়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেসব নিয়ে এখনও পর্যন্ত মহুয়া মৈত্র অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ