Advertisement
Advertisement
Kalyan Banerjee-Mahua Moitra

ফের প্রকাশ্যে দুই সাংসদের দ্বন্দ্ব, নারীবিদ্বেষ নিয়ে বাদানুবাদ কল্যাণ ও মহুয়ার

শ্রীরামপুরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

Kalyan Banerjee and Mahua Moitra speaks over misogyny
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 29, 2025 1:52 pm
  • Updated:June 29, 2025 2:16 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র। এবার নারীবিদ্বেষ নিয়ে বাদানুবাদ তুঙ্গে দু’জনের। রবিবার সকালে যেন বোমা ফাটালেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।

Advertisement

আসলে বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত কসবা কাণ্ড নিয়ে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে মুখ খোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সহপাঠী যদি সহপাঠিনীকে ধর্ষণ করে, তা হলে নিরাপত্তা দেবে কে?” কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও বিতর্কিত মন্তব্য করেন। দলের বিধায়ক কিংবা সাংসদের কারও নাম না করেই নারীবিদ্বেষ নিয়ে আবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মহুয়া। তিনি লেখেন, “ভারতে নারীবিদ্বেষ দলের গণ্ডিতে আটকে নেই। কিন্তু তৃণমূলকে অন্যদের থেকে আলাদা করে একটাই বিষয়, আমরা এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করি, তা সে যে-ই করুন না কেন।”

তৃণমূলের তরফেও কল্যাণ কিংবা মদন মিত্র উভয়ের মন্তব্যের জোরাল বিরোধিতা করা হয়।

তবে তারপরেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন কল্যাণ ও মহুয়া। সাংসদ কল্যাণ বলেন, “আমার প্রথম প্রশ্ন দেড়মাস মধুচন্দ্রিমা করে কি ফিরেছেন? আর এসেই কি পিছনে লাগা আরম্ভ করে করেছেন? আমি নারীবিদ্বেষী নই। আমি নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কথা বলি। আর মহুয়া মৈত্র এতটাই নারীবিদ্বেষী যে কৃষ্ণনগরের কোনও মহিলা কর্মী, ভালো নেত্রীকে উঠতে দেয় না। আপনি আমাকে নারীবিদ্বেষী বলছেন? ৪০ বছরের বিয়ে ভাঙিয়ে বউকে রেখে দিয়ে আরেকটা বিয়ে করলেন। তা কোন নারীর বুকে নিজের স্বার্থের জন্য আঘাত করলেন? জানি আপনাকে কিছু মহিলা সমর্থন করবেন। সেই মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি একই ঘটনা ঘটে? ৩০ বছর বিয়ে করার পর স্বামীরা ছেড়ে দিয়ে চলে যায়? ভাবতে পারেন ৪০ বছর বিয়ে হয়ে গিয়েছে, সে মহিলা কোথায় যাবেন? তাঁর ছেলেপুলে আছে। উনি লোভী মহিলা। আমি নারীদের সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আমি একটি নারীকে ঘৃণা করি। তিনি মহুয়া মৈত্র। আমি ঘৃণা করি তাঁকে।”

কল্যাণ আরও বলেন, “কবে রাজনীতিতে এসেছেন? নিজেকে রাহুল গান্ধীর বান্ধবী বলে কৃষ্ণনগরে রাজনীতি করতেন। তারপর ২০১১ সালে চলে এল। একজন অভিজ্ঞ সাংসদ সেই সময় আমাদের বলেছিলেন, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে দিদি মহুয়ার নাম বলেছিলেন। ওই অভিজ্ঞ সাংসদ বলেছিলেন ওঁকে চলবে না। সেই সময় অন্য এক মহিলার নাম করেছিলেন। তাঁকে মেনে নেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন মন্ত্রী। তৃণমূলের ভালো সময় সাংসদ হয়েছে। সাংসদ পদকে ভাঙিয়ে খাচ্ছে। এর কাছে নারীবিদ্বেষ শিখব না।” এমনকী কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের সময় মহুয়ার ‘কলকাঠি’তেই সেখানে প্রচার করতে যেতে পারেননি বলেই দাবি শ্রীরামপুরের সাংসদের। যদিও পালটা মহুয়ার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ