‘সুমন করাতি, হুগলি: মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে বিরোধ কি তবে অতীত? রাখির দিন ‘দিদি’র আশীর্বাদ পেয়ে অনুতাপে কার্যত ভেঙে পড়লেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”মহুয়া মৈত্র আমার কাছে কোনও বিষয় নয়। এনার্জি নষ্ট করেছি। দিদিকেও (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) উলটোপালটা বলে ফেলেছি। এটা না বললেই বোধহয় ভালো হতো।” এও জানালেন যে রাখিতে ‘দিদি’ তাঁকে একবার নয়, তিনবার আশীর্বাদ করেছেন। তাতেই আপ্লুত শ্রীরামপুরের বর্ষীয়ান সাংসদ। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর একান্ত আলাপচারিতা ও সংসদে তৃণমূলের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কেও কথা বলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত সপ্তাহে কার্যত নজিরবিহীন বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে অভিমানে লোকসভার মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ। সেই পদত্যাগপত্র গৃহীতও হয়। সেই তরজার মাঝে সোশাল মিডিয়া পোস্টে মহুয়াকে নিশানা করার পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশেও বেশ কিছু বার্তা দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। এখন সেসব নিয়ে কার্যত হাহাকার করছেন তিনি! শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বলেন, ”মহুয়া মৈত্র আমার বিষয় নয়। অনেক সময়, শক্তি এরকম একজন মহিলার জন্য নষ্ট করেছি। তার জন্য অনেকের কাছে খারাপ হয়েছি, দিদিকেও উলটোপালটা বলে ফেলেছি। এটা না বললেই বোধহয় ভালো হতো।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, ”সকাল থেকে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাখি নিয়ে তিনবার আশীর্বাদ করেছে, আমিও তাকে প্রণাম জানিয়েছি।” তাঁর এসব কথা থেকেই স্পষ্ট, যা হয়েছে তা নিয়ে ভাবতে নারাজ। তিনি আরও জানান, ”পরশুদিন (বৃহস্পতিবার) আমার সঙ্গে অভিষেকের দেড়ঘণ্টা ধরে কথা হয়েছে। সংসদ নিয়ে এখন চিন্তা করার কোনও বিষয় নেই। এখন তো সেখানে কিছু হচ্ছে না। আমাকে অনেক মামলা করতে হচ্ছে। আগামী ছ’মাস অনেক মামলাও হবে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস হাতে হাত মিলিয়ে অনেক মামলা করেছে। দিদির উপর যে আঘাত আনার চেষ্টা করছে, সে আঘাতটা তো রুখতে হবে। আরও কয়েকটা দিন যাক। আর তাছাড়া এবারে তো হাউসে কিছু নেই, শুধু চেঁচামেচি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.