সুবীর দাস, কল্যাণী: সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য নদিয়ার গয়েশপুরে। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্ত কেন এই চরম সিদ্ধান্ত? নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা রহস্যভেদে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রাহুল দেবনাথ। তাঁর বয়স ২৫ বছর। নদিয়া জেলার গয়েশপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে গয়েশপুরের ওই বাড়িতে থাকতেন রাহুল। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে যান রাহুলের স্ত্রী। রাতে অন্যান্য দিনের মতোই বাবা-মায়ের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে উপরের ঘরে ঘুমোতে চলে যান রাহুল।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে বেরননি তিনি। কাজে যেতে দেরি হচ্ছে দেখে রাহুলকে ডাকতে ঘরে যান তাঁর বাবা-মা। সেই সময়ে তাঁরা দেখেন গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন রাহুল। সঙ্গে সঙ্গে আর্তনাদ করেন বাবা-মা। চিৎকার শুনে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। রাহুলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা রাহুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য রাহুলের দেহ পাঠানো হয়েছে জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন রাহুল। কিন্তু কেন? স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল? আর্থিক কোনও সমস্যা ছিল কি? এহেন বহু প্রশ্নের উত্তর জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.