সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা কার্যত অতীত। শিলিগুড়ি-সহ সমতলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চললেও তা নামমাত্র। তবে লক্ষ্মীপুজোর সকালে দার্জিলিং শহরের ছবিটা অন্যরকম। দুর্যোগের কালো মেঘ কাটতেই এদিন রোদ ঝলমলে সকাল। সকাল থেকে পরিষ্কার আকাশ। দেখা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘাও। সমস্ত পর্যটনস্থলগুলি বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই ম্যালে উপচে পড়ছে ভিড়।
প্রকৃতির রুদ্ররোষ কয়েকঘণ্টায় তছনছ করে দিয়েছে উত্তরবঙ্গকে। লাগাতার বৃষ্টির সঙ্গে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃষ্টির জলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত। পরিসংখ্যান বলছে, শনিবার ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। বেড়াতে গিয়ে আতঙ্কে কাঁটা পর্যটকরা। পাহাড়ি পথে ধস নেমে বন্ধ সড়ক যোগাযোগ। পাহাড়-সমতল বিচ্ছিন্ন। নজরদারি ও পর্যটকদের সাহায্যের জন্য নবান্নে খোলা হল ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। হেল্পলাইন নং চালু করেছে দার্জিলিং পুলিশও। পরিস্থিতি পরিদর্শনে আজ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে রবিবার বিকেল থেকেই ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে আবহাওয়া। বিকেলের পর সে অর্থে উঁচু এলাকাগুলিতে বৃষ্টি হয়নি। দু-এক জায়গায় হলেও তা সামান্য। সোমবার সকালে ঝলমলিয়ে রোদ উঠেছে দার্জিলিংয়ে। দেখা দিয়েছে ঘুমন্ত বুদ্ধ। পর্যটনস্থলগুলিতে নিরাপত্তার খাতিরে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে সকাল সকাল কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পেতে ম্যাল ও সংলগ্ন ভিউ পয়েন্টগুলিতে ভিড় জমিয়েছে পর্যটকরা। পরিস্থিতি এমনই থাকলে দার্জিলিংয়ের শীঘ্রই পর্যটনস্থলগুলি খুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.