ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ ও সঞ্জিত ঘোষ: কৃষ্ণনগর হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংয়ের বাবাকে হেফাজতে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএসএফের বাধার মুখে পুলিশ। অভিযোগ, রঘুবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে না বিএসএফ। এমনকী, রাজস্থানের জয়সলমীরের বিএসএফের ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক অনুমতিপত্র দেখা সত্ত্বেও কৃষ্ণনগর জেলার পুলিশের আধিকারিকদের হাতে দেশরাজের বাবাকে তুলে দিতে রাজি হয়নি। তাঁদের যুক্তি, দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফের আইজির অনুমতিপত্র পেলে তবেই তাঁরা রঘুবিন্দরকে তুলে দিতে পারেন পুলিশের হাতে।
জানা গিয়েছে, রঘুবিন্দর সিং ছাড়াও দেশরাজকে মদত জোগানোর ক্ষেত্রে ওই ব্যাটালিয়নের আরও এক বিএসএফ কর্মীর ভূমিকা নিয়েও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ব্যাপারে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘বিএসএফ কেন আমাদের হাতে রঘুবিন্দরকে তুলে দিচ্ছেন না, সেটাই রহস্যের। জেলা পুলিশের একটি টিম রাজস্থানের জয়সলমীরে রয়েছে।’’ পুলিশের মতে, বিএসএফ বেশি দেরি করলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করে জানাবে যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও বিএসএফ গ্রেপ্তারিতে বাধা দিচ্ছে।
এদিকে বুধবার জেলে দেশরাজ সিংয়ের টিআই প্যারেড হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশের পক্ষে দেশরাজ সিংকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়। শুক্রবার দেশরাজকে আদালতে তোলা হতে পারে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারে। পুলিশের দাবি, দেশরাজ সিং তার বাবা ও মামা কুলদীপকে ঈশিতাকে খুনের কথা জানানোর পর তার গা ঢাকা দেওয়ার জন্য প্রথমে বাবা রঘুবিন্দর সিং তার ভুয়ো পরিচয়পত্র বানানোর চেষ্টা করেন। ভুয়ো আধার কার্ড ও বিএসএফের পরিচয়পত্র তৈরি করে নিজের মোবাইল থেকে না পাঠিয়ে বিএসএফের একই ব্যাটালিয়নের অন্য এক সহকর্মীর মোবাইল থেকে তা শ্যালক কুলদীপকে পাঠান। কুলদীপ নিজের মেয়ের সাহায্যে তার প্রিন্ট আউট বের করেন। তাই রঘুবিন্দরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এসে জেরার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.