Advertisement
Advertisement
Durgapur

৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার সব অভিযুক্ত, দুর্গাপুর ‘গণধর্ষণে’র কিনারায় তৎপর পুলিশ

শেখ সফিক নামে ওই ব্যক্তিই মূল অভিযুক্ত বলে ধারণা তদন্তকারীদের।

Last accused arrested in Durgapur physical assault case of medical student

প্রতীকী ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 13, 2025 1:14 pm
  • Updated:October 13, 2025 2:09 pm   

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডে কিনারা করতে পুলিশি সক্রিয়তা আরও বেড়েছে। একদিন পরপর দুই অভিযুক্তকে জালে আনল পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার শেষ অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার নাম সফিকুল শেখ। এই ঘটনায় তাকেই মূল অভিযুক্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আজ দুই ধৃতকেই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সব অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় দ্রুত কিনারার আশা দেখা দিল। 

Advertisement

রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল। মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে পরপর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুর্গাপুর কাণ্ডে শেষ দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দুর্গাপুর নগরনিগমের অস্থায়ী কর্মী নাসিরউদ্দিন শেখকে। দুপুরে জানা গেল, শেষ অভিযুক্ত সফিকুল শেখকেও জালে এনেছেন তদন্তকারীরা। বিজড়া এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখানকার গোপালমাঠ থেকে গ্রেপ্তার করেছে সফিকুলকে। তবে এর বিষয়ে এখনই বিস্তারিত তথ্য জানাতে পুলিশ নারাজ। আগেই ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা জানিয়েছিল জেলা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশ্বাস দিয়েছিলেন, জড়িতরা কড়া শাস্তি পাবেই। এবার অভিযোগের দু’দিনের মধ্যে সব অভিযুক্ত ধরা পড়ায় এবার ঘটনার দ্রুত কিনারা হবে বলে আশাবাদী পুলিশ মহল।

গত শুক্রবার, ১০ অক্টোবর দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ৮টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে খাবার কিনতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। তখনই তিনি নির্যাতনের শিকার হন বলে জানা যায়। অভিযোগ, পরাণগঞ্জে জঙ্গলের জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। শনিবার সকালে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। রাস্তায় নেমে ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ থেকে ছাত্রসমাজ।

ঘটনার গুরুত্বের নিরিখে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তদন্তে নামে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। আশ্বাস দেওয়া হয়, দ্রুতই দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তদন্তের স্বার্থে ঘিরে ফেলা হয় গোটা পরাণগঞ্জের জঙ্গল। পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার হওয়ায় পুলিশের সক্রিয়তাই প্রমাণ করল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ