Advertisement
Advertisement
Bolpur

মামলা না লড়ার হুমকি! শান্তিনিকেতনে ছুটি কাটাতে গিয়ে হুমকির মুখে আইনজীবী দম্পতি

ঘটনায় বাংলাদেশের হাত রয়েছে বলে অনুমান দম্পতির, শুরু হয়েছে তদন্ত।

Lawyar couple allegedly threatend for not doing legal fight at Bolpur, probe started
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 7, 2025 5:14 pm
  • Updated:June 7, 2025 5:16 pm  

দেব গোস্বামী, বোলপুর: শান্তিনিকেতনে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে আইনজীবী দম্পতি। মামলা না লড়ার লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, এই মর্মে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ইলামবাজার ও শান্তিনেকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দম্পতির অভিযোগ, ঘটনা পরম্পরা দেখে তাঁদের মনে হয় যে এতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। তবে কী কারণে, কোন মামলার জন্য তাঁদের এমন হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে, সে বিষয়ে ধারণা করতে পারছেন না।

শান্তিনিকেতন ও ইলামবাজার থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। নিজস্ব ছবি।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির পুত্র অনন্য রায় সরস্বতী ও পুত্রবধূ শ্রেয়া রায় সরস্বতী গ্রীষ্মের ছুটিতে শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ায় নিজেদের বাড়িতে এসেছেন। আর সেখানেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়ছেন তাঁরা। অনন্য রায় সরস্বতীর অভিযোগ, “আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই হাই কোর্টের আইনজীবী। কলকাতা-সহ শান্তিনিকেতনে গোয়ালপাড়া সংলগ্ন এলাকায় আমাদের বাড়ি রয়েছে৷ হাই কোর্টে গ্রীষ্মের ছুটি, তাই শান্তিনিকেতনের বাড়িতে রয়েছি। ইলামবাজার জঙ্গল দিয়ে যাওয়ার সময় ৫ জুন, সকাল ১১ টায় আমাদের গাড়ি থামিয়ে জামার কলার ধরে এক ব্যক্তি৷ তারপরেই বলা হয়, হাই কোর্টে মামলা লড়া যাবে না। পুলিশকে জানালে পরিণতি খারাপ হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। একইভাবে শান্তিনিকেতনের বাড়িতেও দুই ব্যক্তি হুমকি দেন৷ আমরা রীতিমত আতঙ্কে রয়েছি৷ দুই থানাতেই অভিযোগ দায় করেছি৷” রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন আইনজীবী দম্পতির পরিবার।

অন্যদিকে, আইনজীবী শ্রেয়া রায় সরস্বতী বলেন, “সিনেমার মতো এমন দৃশ্য আগে দেখিনি। মাত্র দুই বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। আমরা সত্যিই আতঙ্কে রয়েছি। কেন হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না৷ হাই কোর্টে আমাদের বহু মামলা রয়েছে, কোন মামলা প্রসঙ্গে হুমকি দিচ্ছে তাও জানি না৷ ওসি আমাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছেন। আমরা বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি। আমরা বীরভূমের পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলেছি৷ এই মুহূর্তে বুঝতে পারছি না কী করা উচিত।” যদিও এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয় নি। অভিযোগের পরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইলামবাজার ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement