আক্রান্ত ওই যুবক। নিজস্ব চিত্র
বাবুল হক, মালদহ: ওড়িশায় কাজে গিয়ে ফের আক্রান্ত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক! বিজেপিশাসিত ওই রাজ্যে বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁকে প্রথমে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশও ওই পরিযায়ী শ্রমিককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম ওই শ্রমিক মালদহে নিজের বাড়িতে কোনওমতে ফিরে এসেছেন। ঘটনার নিন্দা করে ফের সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই শ্রমিকের নাম বিনয় বেসরা। তিনি মালদহ জেলার গাজোল থানার চিলিমপুর এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আদিবাদী যুবক গত ১৫ দিন আগে ওড়িশায় বালিশ চন্দ্রপুর এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন। ওই এলাকাতেই একটি জায়গায় থাকছিলেন। অন্যান্যদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলছিলেন তিনি। অভিযোগ, ওই এলাকার গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশি দেগে মালদহের ওই যুবককে এলোপাথারি মারা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ সেখানে যায়। অভিযোগ, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বিনয় বেসরাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও ওই পরিযায়ী শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করা হয়! দুই পায়ের পাতায় মারার ফলে তিনি চলতে পর্যন্ত পারছিলেন না। পরে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গুরুতর জখম অবস্থায় আতঙ্কিত ওই যুবক কোনওমতে ওড়িশা থেকে মালদহের নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। পরিবারের লোকজনও ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে আছেন। ঘটনা জানাজানি হতেই প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। গতকাল, শনিবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত আদিবাসী পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে গাজোল পঞ্চায়েত সমিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন ও ব্লক সভাপতি দীনেশ টুডু। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপিশাসিত রাজ্য ওড়িশায় বাঙালিকে হেনস্তা করা হয়েছে। আগামীতে যদি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলা ভাষায় কথা বলা ও বাঙালি হেনস্তা বন্ধ না হয়, তাহলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে গাজোল বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন জানান, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলায় হেনস্তার ঘটনা তিনি মানতে পারছেন না। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.