সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাট আদিবাসী ছাত্রী হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। জানা যাচ্ছে, ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ২ দিন পর আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছিল ধৃত শিক্ষক মনোজ পাল। ছাত্রীর সঙ্গে একত্রবাসের কথা স্বীকার করেছিল সে। নিখোঁজ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছিল, কোনওভাবে নাবালিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার হলে কী পদক্ষেপ করবে পুলিশ? ফেঁসে যেতে পারে কি সে? গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খুললেন আইনজীবী। সাফ জানালেন, মনোজের হয়ে সওয়ালের কোনও প্রশ্নই নেই।
ঠিক কী জানিয়েছেন রামপুরহাটের ওই আইনজীবী? গত ৩০ আগস্ট আইনজীবীর কাছে যায় মনোজ। সে দাবি করে, ২৭ তারিখ হস্টেল থেকে প্রেমিকের সঙ্গে অপ্রস্তুত অবস্থায় উদ্ধার হয় নাবালিকা। জানাজানি হতে শিক্ষকরা বকাবকি করেন। তা নিয়ে অশান্তিও হয়। পরের দিন অর্থাৎ ২৮ তারিখ টিউশন পড়ে ফেরার পথে মনোজের সঙ্গে দেখা হয় ওই ছাত্রীর। আগেরদিনের কথা মনে থাকায় সেই ক্ষততে প্রলেপ দিতে ছাত্রীকে নাকি বীরচন্দ্রপুরে নিয়ে যায় সে। তারাপীঠের দোকান থেকে জামাও কিনে দেয়। এসবে অনেকটা সময় চলে যায়। সেই কারণেই নাকি ছাত্রীকে নিজের ভাড়াবাড়িতে থেকে যেতে বলে মনোজ।
২৯ তারিখ ছাত্রীর খোঁজে মনোজের বাড়িতে যায় পরিবারের সদস্যরা। আইনজীবীর দাবি অনুযায়ী মনোজ তাঁকে জানায়, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ছাত্রীকে লুকিয়ে রাখে সে। ওইদিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ রাতেও একবাড়িতে থাকে তারা। ৩০ তারিখ বাড়ির ১০০ মিটার দূরে নাকি ছাত্রীকে ছেড়ে আসে মনোজ। এরপর প্রথমে হাই কোর্টের এক আইনজীবীর দ্বারস্থ হয় সে। তাঁর পরামর্শেই বীরভূমের আইনজীবীর দ্বারস্থ হয় মনোজ। আইনজীবী সূত্রে খবর, মনোজ বারবার জানতে চায় যে কোনওকারণে ছাত্রীর মৃত্যু হলে, পচাগলা দেহ উদ্ধার করে কোন পদ্ধতিতে তদন্ত করবে পুলিশ। প্রয়োজনে আগাম জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনাচিন্তাও করছিল সে। অর্থাৎ খুনের পরই নিজেকে কীভাবে বাঁচাবে সেই চেষ্টা শুরু করে মনোজ। যদিও এত পরিকল্পনা করেও শেষরক্ষা হল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.