সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশার পর বাংলা। জঙ্গলমহলের গড়বেতায় রেললাইনে বিস্ফোরণ। অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল শোরগোল এলাকায়। তদন্তের স্বার্থে রেলকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার নেপথ্যে লুকিয়ে কোন ষড়যন্ত্র? মাও যোগ নেই তো? জানার চেষ্টায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল ৪ টে ১২ মিনিটে গড়বেতার বিস্ফোরণস্থল থেকে পাস করে রাজধানী এক্সপ্রেস। তিন কিলোমিটার এলাকা পেরনোর পর, শিলাবতী ব্রিজের কাছে পৌঁছতেই বিস্ফোরণের শব্দ পান চালক। তবে তিনি এগিয়ে যান গন্তব্যের উদ্দেশে। বাঁকুড়ার একটি স্টেশনে পৌঁছে চালক বিষয়টা রিপোর্ট করেন। প্রায় ৩০ মিনিট সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ট্রেন। পরবর্তীতে গড়বেতা এলাকায় রেললাইনের ধার থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বড়সড় নাশকতার ছকের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। গার্ডেনরিচ থেকে বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন বলে খবর।
তবে পুলিশের দাবি, কোনওভাবে রেললাইনে কোনও রাসায়নিক পড়ে গিয়েছিল। তা থেকেই বিকট শব্দ। এর নেপথ্যে নাশকতার ছক মানতে নারাজ তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, গতকাল, রবিবার মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে যায় ওড়িশার চক্রধরপুর ডিভিশনের রাংরা-করমপাড়া রুটের রেললাইন। সেই সময় ওখানে কাজ করছিলেন ৩৭ বছর বয়সি এতাওয়া ওরাম ও বুধারাম মুণ্ডা নামে দুই কর্মী। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এতাওয়ার। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ভেঙে যায় লাইনের স্লিপার। তার কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে গড়বেতার এই বিস্ফোরণ বহু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.