চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: দীপাবলির রাতে ভস্মীভূত হয়ে গেল আসানসোলের দশটি বাড়ি ও দোকান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত তপসী বাবার মন্দিরের কাছে এই আগুন লাগে। দোকানগুলি সবই অস্থায়ী ঝুপড়ি ছিল। ফলে মূহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে একটি ইলেকট্রিক দোকান ছিল। অনুমান করা হচ্ছে সেই দোকান থেকেই শর্টসার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। তবে দীপাবলির রাতে প্রদীপ কিংবা বা বাজি থেকেও এই আগুন ছড়াতে পারে বলে মনে অনুমান। রাতেই ঘটনাস্থলে তিনটি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে আসানসোলের পাশাপাশি কুলটির নিয়ামতপুরেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বাড়ি। লক্ষাধিক নগদ টাকা-সহ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তি। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আজাদবস্তি এলাকায় একটি গৃহস্থ বাড়িতে রাতে হঠাৎ আগুন লাগে। সৌভাগ্যক্রমে তখন পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে ছিলেন। ফলে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির টালি সরিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। আগুনের লেলিহান শিখায় গোটা বাড়ির সমস্ত কিছুই ভস্মীভূত হয়ে যায়। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে অনুমান।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনার কৈলাসপুর গ্রামেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পুড়ে ছাই গেল ২০টি কাঁচা বাড়ি। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তা সামাল দিতে হিমশিম খায় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। পরে আরও দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বাড়িতে থাকা বেশিরভাগ জিনিসপত্রই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দীপাবলিতেই এমন দুর্ঘটনায় বড়সড় ক্ষতির মুখে অগ্নিদগ্ধ বাড়ির সদস্যরা। মাথার ছাদ হারিয়ে কার্যত বিপদে পড়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.