টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভুয়ো জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। চারবছর পর ছাত্রীকে বহিষ্কার করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। এই বিষয়টি সামনে আসতেই ইইচই শিক্ষামহলে। ছাত্রীর কড়া শাস্তির দাবি মেডিক্যাল কলেজের এক অধ্যাপকের।
চারবছর আগে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন বর্ধমানের বাসিন্দা জুহি কোলে। এসটি কোটায় সিট পান জুহি। চলতে থাকে পড়াশোনা। মাঝে অভিযোগ ওঠে জাল জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে ডাক্তারির এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তিনি। পৌঁছে গিয়েছিলেন চতুর্থ বর্ষে। সম্প্রতি রিপোর্ট আসে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার জাতি শংসাপত্র ভুয়ো। এরপরই তাঁকে বহিষ্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তরুণী বর্ধমানের বাসিন্দা হলেও জলপাইগুড়ি থেকে তিনি এই শংসাপত্র বানিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রীকে বহিষ্কার করতে এত সময় লাগলো কেন?
জানা গিয়েছে, অভিযোগ ওঠার পর সরকারি স্তরে ওই শংসাপত্র যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাতেই যা সময় লাগার লেগেছে। তবে রিপোর্ট আসার পরই সময় নষ্ট না করে ছাত্রীকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এক অধ্যাপক ক্ষোভ উগড়ে বলেছেন, “যেখানে প্রকৃত মেধাবীরা একটি আসনের জন্য লড়াই করছে, সেখানে এই ধরনের প্রতারণা শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাকে নয়, গোটা সমাজকেই কলঙ্কিত করছে। এমন অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া জরুরি।” বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “প্রমাণ পাওয়ার পর ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.