সুমন করাতি, হুগলি: রামপুরহাট কাণ্ডের আবহে সপ্তাহখানেক ধরে নিখোঁজ চন্দননগরের নাবালিকা। দুশ্চিতায় দিন কাটছে তার পরিবারের। মেয়ে বেঁচে আছে তো, উদ্বেগে দিন কাটছে পরিবারের। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে নাবালিকার দাদু-দিদা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
নিখোঁজ নাবালিকার নাম শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। বয়স ১৫ বছর। মাস সাতেকের ব্যবধানে তার বাবা-মা মারা যায়। তারপর কাঁটাপুকুর এলাকায় দাদু-দিদার কাছে থাকছিল সে। ইমামবাড়ার কাছে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। চলতি বছররেই তার বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার কথা। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিল সে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ন’টায় স্কুলে যায় সে। বাড়িতে বলে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান আছে। তবে বাকিদিন গুলি পুলকারে যাতায়াত করলেও সেদিন টোটো করে স্কুলে যাবে বলে দিদার থেকে একশো টাকা নিয়ে বের হয় নাবালিকা। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় পার হয়ে গেলেও নাতনি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। শর্মিষ্ঠার মামা অমিত পালকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি তাঁর বন্ধুদের খুঁজতে রেব হন। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি ছাত্রীর। তাঁরা সমাজমাধ্যমেও ছবি দিয়েছেন। এদিকে কিশোরীর কাছে থাকা মোবাইল ফোনও সুইচ অফ রয়েছে। কোনও খোঁজ না মেলায় চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।
শর্মিষ্ঠার মামা অমিত বলেন, “ইংরেজিতে লেখা একটা নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, কারও সঙ্গে নিজের ইচ্ছায় সে চলে যাচ্ছে। কোথায় গেল কী অবস্থায় আছে কিছুই বুঝতে পারছি না। খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।” মোবাইল লোকেশন ট্রাক করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার রামপুরহাটে নিখোঁজ নাবালিকার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হয়েছে। খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন তার স্কুলেরই শিক্ষক। সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখার পর আরও আতঙ্কে রয়েছে শর্মিষ্ঠার পরিবার। অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.